ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

৫৫ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে: উপদেষ্টা

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১৩ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ১৭:৫৮, ১৩ আগস্ট ২০২৫
৫৫ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে: উপদেষ্টা

খাদ্য উপদেষ্টা ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন

বাজারে যে চাল ৬০ টাকা কেজি, সেই চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের ৫৫ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকায় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।  

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেয়া চালের মান অনেক ভালো। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ নিয়েছি, যে চাল বাজারে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়, তা ওএমএসে ৩০ টাকায় দেয়া হচ্ছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে সেই চাল ১৫ টাকায় পাবে। খারাপ মানের জিনিস কিন্তু দেয়া হয় না।’’ 

বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘‘১৭ আগস্ট খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে পাঁচ মাস ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হতো। এবার এটি সম্প্রসারিত করে ৫৫ লাখ পরিবার ও ছয়মাস করা হয়েছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে চাল দেয়া হবে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে সাধারণত আমন ফসল আসে, সেজন্য এই দুই মাস বন্ধ থাকবে।’’ 

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি রয়েছে চাল। আমন ফসল ভালো হলে আমদানিও খুব বেশি করতে হবে না।’’  

ভূমি সংক্রান্ত খাতে প্রযুক্তি উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করেছে উল্লেখ করে আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘‘বর্তমানে নামজারি, খতিয়ান ডিজিটাল মাধ্যমে করা যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেশিন অথবা ওয়েবসাইট সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে অসুবিধা হয়। তবে এটি বড় সমস্যা হবে বলে মনে করি না। প্রযুক্তি উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করছে। পাশাপাশি আমরাও ধীরে ধীরে সকল কাজকর্ম উন্নততর করতে সক্ষম হবো। সমাজে বিরোধ যেন কমে যায়, সেজন্যই প্রযুক্তিনির্ভর জরিপ, খতিয়ান ও খাজনা প্রক্রিয়া করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এই সংক্রান্ত বিরোধ কমে যাবে।’’ পাশাপাশি জনসাধারণের মধ্যেও ভূমি সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়বে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।   

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ফেনীর বাঁধগুলো মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি, দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামীতেও ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। যারা হতদরিদ্র তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আসবে।’’

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এমদাদুল হক চৌধুরী, ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

ঢাকা/সাহাব/বকুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়