অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, পরে শিশুর লাশ উদ্ধার
ফরিদপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
তামিম তালুকদার
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর ১১ বছর বয়সী স্কুলছাত্র তামিম তালুকদারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের পর পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে উপজেলার কোরকদী ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামের জমির আইলে আবর্জনার নিচ থেকে তামিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তামিম রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী শামীম তালুকদারের ছেলে এবং স্থানীয় গোপালদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, “এটি পরিকল্পিত অপরাধ। মুক্তিপণের দাবিতে তামিমকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।” পুলিশ আসামি তুহিন শেখ (৩২) ও আমিরুল ইসলামকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৫ আগস্ট বিকেলে তামিম বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরে মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরিবার টাকা দেয়ার প্রস্তুতি নিলেও শিশুটির জীবন রক্ষা করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, তামিম নিখোঁজের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার বড়গাতী গ্রাম থেকে সন্দেহভাজন তুহিন শেখকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাঁশপুর গ্রামের জমির আইলে তামিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে আমিরুল ইসলামকেও আটক করা হয়।
তুহিন শেখ এক বছর আগে গোপালদী গ্রামে নিহত তামিমের বাসা প্রবাসী শামীম তালুকদারের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি গ্রামে আসেন।
ওসি এস এম নুরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার দুইজনের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/তামিম/বকুল