ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইউএনও’র বাসায় হামলা

রাতে গ্রেপ্তার, পরদিন বহিষ্কার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০১, ২৩ আগস্ট ২০২৫  
রাতে গ্রেপ্তার, পরদিন বহিষ্কার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলার মামলায় শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আজ শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার অধীনস্থ ইটনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনোরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।”

শুক্রবার দিবাগত (২২ আগস্ট) রাত দেড়টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের শোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজাদুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাব-১৪ সিপিবি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ শনিবার সকালে সুজনকে ইটনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‍্যাব। দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালত সুজনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ১৩ আগস্ট বিকেলে ইটনা উপজেলা পরিষদের ভিতরে ইউএনও’র বাসভবনে হামলা করা হয়। সেই রাতেই মফিজুল ইসলাম নামের এক আনসার সদস্য বাদী হয়ে ইটনা থানায় ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সদর ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক মিলে একটি শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু করে। অভিযোগ আসে যে, সেখানে ফুটবলের পাশাপাশি জুয়া খেলা চলছে। এ বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধের নির্দেশ দেন।

ইউএনও‘র নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয়রা খেলা শুরু করেন। খেলা চলাকালে পুলিশের এক কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে ইউএনও’র নির্দেশের বিষয়টি জানান এবং খেলা বন্ধ করতে বলেন। একপর্যায়ে মাঠ থেকে খেলোয়াড়সহ তিন শতাধিক মানুষ মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ইউএনও’র বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে হামলা করেন। এ সময় বাসভবনে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা বাধা দিলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।

ঢাকা/রুমন/রফিক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়