ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫২, ২৩ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২০:৫৩, ২৩ আগস্ট ২০২৫
টেকনাফ সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা

ফাইল ফটো

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী জানান, মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও সাইডং এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ হয়। এতে সীমান্তের লোকজন আতঙ্কে ছিলেন। অনেকেই সীমান্তবর্তী এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে আসেন।

সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দখলদার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় ওইসব এলাকার রোহিঙ্গারা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকে নৌকায় নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছেন। তবে, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এ বিষয়ে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “শুক্রবার অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। তবে, কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে, সেখানে টহল আরো জোরদার করা হয়েছে।’’

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা চৌধুরী লালু বলেন, “দীর্ঘদিন পর ফের সীমান্তের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কাও বেড়েছে।”

১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি শামসুল আলম বলেন, “রাখাইনে পরিস্থিতি ভয়াবহ। অনেকে জীবন বাঁচাতে সীমান্তে জড়ো হচ্ছে। তবে, অনুপ্রবেশ না করতে পারায় তারা সীমান্তেই অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, “রোহিঙ্গারা যদি এদেশে ঢুকে পড়ে, তবে সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হতে পারে এবং স্থানীয়দের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে।”

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে। পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্ট গার্ড স্থল-জলপথে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।”

এর আগে, গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা।

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়