ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২৪ আগস্ট ২০২৫  
মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার সেলিম

চাঁদাবাজির মামলায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিমকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৪ আগস্ট)  দুপুরে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন।  

গ্রেপ্তার সেলিম উপজেলার বাইমাইল গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।

আরো পড়ুন:

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযান চালিয়ে মূল আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করি। তবে তার ছেলে পলাশসহ অন্যরা পালিয়ে গেছেন। সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’’ 

বাকি আসামিদের ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় তার ছেলে পলাশ (২৬) ও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়। শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিংগাইর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সেলিমের ব্যক্তিগত অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী ও সেলিম ১০ বছর ধরে একসঙ্গে মিলে জমি বেচাকেনার ব্যবসা করছেন। শুরুতে তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন স্বাভাবিকভাবে চললেও পরবর্তীতে বিরোধ বাধে। 

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শনিবার (২৩ আগস্ট) ব্যবসায়িক কাজে আবু সুফিয়ান সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে সেলিম, তার ছেলে পলাশ এবং আরো ১৫-২০ জন তার গাড়ির গতিরোধ করে হামলা করে। তারা আবু সুফিয়ানের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধর করে তার পরিহিত ২৫ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ঘড়ি ও গাড়ির ব্যাকডালায় থাকা ১৫ লাখ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আরো ৫ লাখ টাকার জন্য সুফিয়ানকে সেলিমের ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে আটকে রাখে।

পরে ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা শিমুল থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে সুফিয়ানকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পলাশসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। 

ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘ওরা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে আমার গাড়ির গতিরোধ করেন। পরে ভয়ে আমি ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দেই।’’ এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান। 

এ বিষয়ে গ্রেপ্তার সেলিমের ছেলে পলাশ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘‘আবু সুফিয়ানের কাছে আমার বাবা ১৭১ শতাংশ জমি এবং ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা পান। এ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সমন্বয়ে সালিশি বৈঠকের রায়ে উভয়পক্ষের সম্মতির কপি আমাদের কাছে আছে। সুফিয়ান আমাদের টাকাও দিচ্ছেন না, আবার জমিও না দিয়ে অন্যের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘ওই জমি এবং টাকার জন্য তাকে চাপ দিলে আবু সুফিয়ান চাঁদাবাজির নাটক সাজান। তার কাছ থেকে আমরা কোনো টাকা বা অন্য কিছু নিইনি। এ সব অভিযোগ মিথ্যা।’’

ঢাকা/চন্দন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়