ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৭, ৩১ আগস্ট ২০২৫   আপডেট: ২২:৩৩, ৩১ আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযানে নেমেছে। রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে যৌথবাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের জোবরা গ্রামে অভিযান শুরু করেছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের সড়ক দিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের অন্তত ২০টি গাড়ি প্রবেশ করে জোবরা গ্রামের দিকে যায়। যৌথবাহিনী প্রবেশের পর পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

আরো পড়ুন:

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে সংঘর্ষ শুরুর পর আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত স্থানীয়দের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র আহত হয়েছে।

দুপুর ২টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে হাটহাজরী উপজেলা প্রশাসন। 

নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ওই এলাকায় পাঁচ বা ততধিক ব্যক্তির একসঙ্গে অবস্থান কিংবা চলাফেলা করতে পারবেন না। কোনো ধরনের বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র বা দেশীয় অস্ত্র বহন করা যাবে না।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৫৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে; তাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন জানান, চিকিৎসাধীন সকলে এখন শঙ্কামুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর বিতণ্ডার জেরে শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাত ১১টার দিকে বাসায় ফেরেন। ভবনের গেট বন্ধ থাকায় তিনি প্রহরীকে ডাকাডাকি করেন। এ সময় প্রহরী এসে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে তিনি গালাগাল করেন এবং চড় মারেন।

ওই ছাত্রী তখন সহপাঠীদের খবর দিলে তারা সেখানে যান এবং গ্রামবাসীও ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করে।

এ সময় স্থানীয়রা মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন সে সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।

ঢাকা/রেজাউল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়