দুই বন্ধুর ঝগড়া, একজনের মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই বন্ধুর ঝগড়ার পর পুকুর থেকে তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বন্ধু ডালিম চন্দ্র মজুমদারকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তপনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া হয়।
তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২) একই ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। ডালিম চন্দ্র মজুমদার একই গ্রামের ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডালিম ও তপন দুই বন্ধু প্রায়ই একসঙ্গে গাঁজা সেবন করতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তপনকে তার বন্ধু ডালিমের সঙ্গে রাস্তায় হাঁটতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণ পর উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে ডালিম তপনকে ধাক্কা দেন। ডালিমকে সঙ্গে নিয়েই পুকুরের পানিতে পড়ে যান তপন। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয় ডেকোরেশন মিস্ত্রি মো.মনসুর ও অটোরিকশার চালক নারায়ণ মজুমদার ঘটনাস্থলে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ডালিমকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করেন। খোঁজাঁখুজি করেও তপনকে পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাত সোয়া ২টার দিকে তপনের লাশ পুকুরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে। ডালিমের হাতে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে, নিহত তপনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই।
চর জব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তপনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঢাকা/সুজন/রফিক