খুলনায় নামের বিভ্রান্তিতে ২ কলেজ, প্রতিকার দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম
খুলনায় ‘রূপসা কলেজ’ ও ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ প্রতিষ্ঠান দুইটির নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হযেছে। একই ধরনের নাম হওয়ায় এক অনুষ্ঠানের চিঠিপত্র অন্য প্রতিষ্ঠানে এবং নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও এক প্রতিষ্ঠানের জায়গায় অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম চলে আসার ঘটনা ঘটছে।
এ বিভ্রান্তি নিরসনে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রূপসা কলেজের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজের শিক্ষক রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন শেষে কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রূপসা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহিদুল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৮৬ সালে রূপসা নদীর পূর্ব পাড়ে রূপসা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠান হাজারো শিক্ষার্থীকে জ্ঞানচর্চার আলোয় আলোকিত করেছে। অন্যদিকে রূপসা উপজেলার অপর প্রান্তে ভৈরব নদীর তীরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু কলেজ’ এর নাম পরিবর্তন করে সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তে ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ করা হয়েছে। কিন্তু এমন নামকরণের ফলে বিশেষ করে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নানা রকমের বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
যেমন, রূপসা কলেজের ডাকযোগে আসা গুরুত্বপূর্ণ চিঠিপত্র ভুলক্রমে রূপসা সরকারি কলেজে চলে যাচ্ছে এবং সরকারি কলেজের চিঠিপত্র চলে আসছে রূপসা কলেজে। একইভাবে অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। এ বছর প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী রূপসা কলেজে ভর্তির ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবেদন করেছে রূপসা সরকারি কলেজে।
আরো বলা হয়, অনার্স কোর্সে প্রতি বছর ভাল ফলাফলের জন্য প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও এ বছর আবেদন করেছে মাত্র ২৫ জন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতে হলে সরকারের সদ্য নামকৃত ‘রূপসা সরকারি কলেজ’ এর নাম পরিবর্তন জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি নাম প্রস্তাব দিয়ে বলা হয়, ওই কলেজটি নাম ‘সরকারি ভৈরব কলেজ’ (কারণ কলেজটি ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত), ‘সরকারি বেলফুলিয়া কলেজ’ (স্থানীয়ভাবে পরিচিত পূর্ব নামানুসারে) রাখা যেতে পারে।
সরকারের প্রতি এ বিভ্রান্তি দ্রুত নিরসন করে রূপসা কলেজকে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন, শিক্ষক প্রতিনিধি উদ্ধব চন্দ্র পাল, মো. ইমদাদুল হক, নাসরিন সুলতানা লিমা, সহকারী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান, শ্যামল কুমার দাস, সুলতান আহম্মেদ, নুসরাত জাহান মিলি, শেখ আরিফুজ্জামান, মো. শহিদুল্লাহ, রেজাউল করিম, কেএম বাসার, শিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী