ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি

লালমনিরহাট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ৬ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ০৯:০০, ৬ অক্টোবর ২০২৫
ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার রাতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ

উজানের ঢল এবং টানা বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে।

এদিকে, রবিবার (৫ অক্টোবর) দিনভর পানি বাড়ার পর রাতে তা বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায়। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই নদী তীরবর্তী লালমনিরহাটসহ নীলফামারী ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ বন্যা আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেটই খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ‍“ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে পানি দ্রুত বেড়েছে। আমরা রেড অ্যালার্ট জারি করে রাতেই মাইকিং করেছি। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।”

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও, সন্ধ্যা ৬টার দিকে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। একপর্যায়ে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার প্রায় ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ১২ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।

রাতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধেই রাত্রিযাপন করেন তিস্তা পাড়ের অনেক বাসিন্দারা। তিস্তার বাম তীরের লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারীর চরাঞ্চল দ্রুত প্লাবিত হয়েছে।

গোবর্দ্ধন গ্রামের বাসিন্দা জালাল বলেন, “ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় আমরা রাতভর ঘুমাতে পারিনি। কখন ঘর ভেসে যায়, সেই আতঙ্কে পরিবার-পরিজন ও গরু-ছাগল নিয়ে বাঁধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তলিয়ে গেছে আমন ধান, সবজি ও মাছের খামার। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন। তিস্তার ডান তীরের একটি বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।”

ঢাকা/সিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়