কেরাণীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কেরাণীগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
শুক্রবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসা।
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
আরো পড়ুন: কেরানীগঞ্জে বিস্ফোরণে উড়ে গেল মাদ্রাসা কক্ষ, আহত ৪
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদ্রাসা পরিচালক শেখ আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া (২৮), তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার (৩০) ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমা (৩৪)।
পুলিশ জানায়, শেখ আল আমিন নামে এক ব্যক্তি ২০২২ সাল থেকে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করছিলেন। একই ভবনের দুটি কক্ষে তিনি পরিবারসহ বসবাস করতেন। গত শুক্রবার বিস্ফোরণের ঘটনায় তার তিন সন্তানের মধ্যে উমায়ের (১০) ও আব্দুর রহমান (২) আহত হয়। তাদের প্রথমে আদ-দ্বীন হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পুলিশ রাসায়নিক দ্রব্য, চারটি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মনিটর উদ্ধার করে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট, এন্টি টেররিজম ইউনিটসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তদন্তে যুক্ত হন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর শেখ আল আমিনের স্ত্রী আছিয়াকে (২৮) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমাকে (৩৪) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পলাতক শেখ আল আমিনের বিরুদ্ধে ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন থানায় মোট সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি এর আগে ২০১৭ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার আসমানী খাতুনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসাটিতে ৩৫ জনের মতো শিক্ষার্থী পড়ালেখা করত। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। এ কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকা/শিপন/মাসুদ