ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বিদেশে যেসব পার্ট টাইম চাকরি পায় শিক্ষার্থীরা

ক্যাম্পাস ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪০, ১২ নভেম্বর ২০২০  
বিদেশে যেসব পার্ট টাইম চাকরি পায় শিক্ষার্থীরা

আপনি যদি বিদেশে পড়াশোনা করেন তবে, আপনার দৈনন্দিন খরচসহ নানা ব্যয় মেটাতে একটি পার্ট টাইম চাকরি খুব প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠতে পারে। সেটি না করলে অনেক শিক্ষার্থীর জন্যই বিদেশে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যায়।

উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ বিদেশি শিক্ষার্থীই পার্ট টাইম চাকরি খুঁজে। কোন বিষয়ে শিক্ষার্থী পড়তে যাচ্ছে, তার ভিসার ধরণ, সে কোন দেশ থেকে এসেছে এসব বিষয়ের উপর নির্ভর করে একজন বিদেশী শিক্ষার্থী উপযুক্ত একটি পার্ট টাইম চাকরি পেয়ে থাকে। সে কত ঘন্টা পার্ট টাইম কাজ করতে পারবে তাও নির্ভর করে এসব বিষয়ের ওপর। শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা, মাতৃভূমি, ভাষা দক্ষতা ও কর্মঘন্টাভেদে বিভিন্ন জায়গায় পার্ট টাইম চাকরি পেয়ে থাকে। 

অনেক উন্নত দেশে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করার সুযোগ পায়। আমেরিকা ও কয়েকটি দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসে রাইটিং সেন্টারে কাজ করা থেকে শুরু করে, শিক্ষকের সহকারী হিসাবে, ক্যাফেটেরিয়ায়, কম্পিউটার সেন্টারগুলোতে কাজ করা যায়। বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে, ক্যাম্পাসে কাজ করলে নতুন লোকের সাথে দেখা হবে, ভাষার দক্ষতা উন্নত হবে ও অভিজ্ঞতার ঝুলি বাড়বে।

রেস্টুরেন্ট এবং পানশালাগুলোতেও শিক্ষার্থীরা ঘন্টাপ্রতি কাজ করার সুযোগ পায়। সেখানকার অতিথিদের আপ্যায়ন ও দেখভাল করার মাধ্যমে সবচেয়ে কম সময়ে ও সহজে কর্মসংস্থান করে ফেলা যায়। রান্নার দক্ষতা থাকলে ‘শেফ’ হিসেবে উঁচু বেতনেও চাকরি পাওয়া সম্ভব। তবে সেক্ষেত্রে দিতে হতে পারে লাইসেন্স পরীক্ষা। ভাল যোগাযোগ দক্ষতা ও অতিথিদের সন্তুষ্ট করার গুণ থাকলে ভাল আয় করা সম্ভব। তবে এই পেশার খারাপ দিক হচ্ছে এখানে অনেক লম্বা সময় ধরে কাজ করে যেতে হয়।

বিদেশে পার্টটাইম চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাল সুবিধা পাওয়া যায় বিভিন্ন কল সেন্টার ও হেলথ কেয়ার সেন্টারে। যাদের ভাষা দক্ষতা ভালো, কম্পিউটারের উপর জ্ঞান আছে, যোগাযগের দক্ষতা ভাল, যারা বন্ধুত্বপুর্ণ ও আত্মবিশ্বাসী তাদের জন্য কল সেন্টার ভাল পছন্দ।

বিদেশে কর্মসংস্থানের যাত্রা শুরু করার একটি সাধারণ উপায় হলো গ্রাহক পরিষেবা সম্পর্কিত পোস্টে কাজ করা। এগুলো সাধারণত খণ্ডকালীন, শিফটভিত্তিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে থাকে। স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নানামুখী দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ পাওয়া যায় এসব কাজে।

এছাড়াও ইন্টার্নশিপ করে, গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করে বা বিভিন্ন ক্যাম্পেইন বা ইভেন্টে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেও বিদেশে অর্থ উপার্জন করতে পারে শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/নোবেল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়