ঢাকা কলেজ বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলনমেলা

‘এসো মেলাই প্রাণে প্রাণ’— স্লোগান নিয়ে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রদের মিলনমেলা-২০২৩ সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুন) এই মিলনমেলার আয়োজন করে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্ররা।
অনুষ্ঠানে ১৯৯২-৯৩ শুরু করে ২০১৭-১৮ ব্যাচ পর্যন্ত অন্তত ২০০ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করেন। ছাত্রদের এই মিলনমেলায় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকরাও যোগ দেন।
এদিন সকাল ৯টায় কলেজ প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্রদের সমাবেশ ঘটে। একটি আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন ছাত্ররা। পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মূল অনুষ্ঠানকেন্দ্র জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে জড়ো হন।
পারস্পরিক পরিচয় বিনিময়ের পর মিলনমেলা নিয়ে ‘এক কথায়’ প্রতিক্রিয়া জানানো শেষে শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া ও স্মৃতিচারণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক আরিফা সুলতানা বলেন, ‘ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ডাক পেয়ে মনে হয়েছে দীর্ঘ দিন পর যেন আপন পরিবারের সাথেই দেখা করতে চলেছি। মিলনমেলায় এসে আপ্লুত হয়েছি। মনে হয়েছে, হাজারো আপনজনের উষ্ণ হৃদয়ের সান্নিধ্যে এসেছি। মনটা ভরে গেছে। মিলনমেলা সার্থক হোক।’
ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ ড. আয়েশা বেগম বলেন, ‘প্রথমবারের মত বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলনমেলা আয়োজন সম্পন্ন করেছে, এটি দারুণ একটি সামাজিক পদক্ষেপ। আমার সামনে এখন হাজারো আলো। এই আলো বৈদ্যুতিক আলো নয়। এই আলো ছাত্রদের চোখের আলো, তাদের হৃদয়ের ভালোবাসার আলো। তাদের ডাকে বার বার সাড়া দিতে চাই। ছাত্রদের এই সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন চির অটুট থাকুক, সেটাই কাম্য।’
দারুণ প্রাণবন্তভাবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ১৯৯৩-৯৪ ব্যাচের জাহিদুল হক পল্লব। অনুষ্ঠানে মিলনমেলার পটভূমি তুলে ধরেন ১৯৯৪-৯৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহিন।
মিলনমেলা সাফল্যমণ্ডিত করতে এইচ. এম. মিজানুর রহমান জনি, হাবিবুর রহমান রোমেল, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মুজাহিদুল ইসলাম মিলন, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান, মাহমুদুল আমিন শিবলী, শেখ মেজবাহ উদ্দীন, ওয়ালিদুল ইসলাম তুষার, ইবনুল কাইয়ুম সনি, খালিদ হোসাইন, মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন মাসুম, আফিল উদ্দিন আপেল, বিএম সোহেল, শফিকুল ইসলাম শফিক, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. মাঈনুদ্দিন রিমন, মতিউর রহমান আরমানসহ সকল প্রাক্তন শিক্ষার্থী একত্রে কাজ করেছেন।
মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামীতে সৌভ্রাতৃত্বের এই বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় নিয়ে মিলনমেলা সমাপ্ত হয়।
ঢাকা/সনি/এনএইচ
আরো পড়ুন