গবিতে ধামরাই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মিলনমেলা
গবি সংবাদদাত || রাইজিংবিডি.কম
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) অধ্যয়নরত ধামরাই উপজেলাধীন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ধামরাই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গণ বিশ্ববিদ্যালয় (জিএসএজিবি) এর আয়োজনে আলোচনা সভা ও মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ এবং প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে ধামরাইয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাত পিংকি। তিনি বলেন, ‘ধামরাই শব্দটা নিজেই এক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক। আমরা এই মাটির মানুষ আজ একত্রিত হয়েছি এক ছাতার নিচে আসার জন্য, উন্নয়নের-প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে। আমরা পারি এবং পারব। অতীতের সোনালী ইতিহাসের কথা মাথায় রেখে নবযাত্রার ঝান্ডাধারী হওয়ার এই সিলসিলা হোক অনির্বাণ।’
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মো আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কাজ করে, বিভিন্ন বৃত্তিও প্রদান করে থাকে, যার একটি অংশ আসে বেনজীর ভাইয়ের থেকে। আমরা ধামরাইয়ের বাসিন্দারা আমাদের এমপি বেনজীর আহমেদের পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি, যেখানে অন্য অনেক এলাকার মানুষ তাদের এমপির নামও নিতে চায় না। আমাদের এমপির কোনো দুর্নাম নেই এবং উনার সমকক্ষ কোনো রাজনীতিবীদ ধামরাইয়ে নেই। উনি দুইবারের বিজয়ী এমপি। আমরা আশা করবো এইবারও তিনি জয়ী হয়ে আমাদের ধামরাইয়ের আরো উন্নতি করবেন। আমি আশা করবো আজকের এই শিক্ষার্থীরাই যার যার অবস্থান থেকে আলোকিত ধামরাই গঠনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সকল শিক্ষার্থীর সহায়তায় ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আজকে এই মিলনমেলা তোমাদের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবং আশা করবো এটা চলমান থাকবে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধেরই একটি ফসল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই উপজেলার ৪০০ শিক্ষার্থী; কোনো ক্যাম্পাসে এটা বিরল। ধামরাই অনেক আগে থেকেই শিক্ষিত অঞ্চল, এর ধারাবাহিকতা এখনো বজায় আছে। আমরা ধামরাইয়ের উন্নয়নে অনেক কাজ করছি, সবাইকে একত্রিত করে জনবল তৈরি করছি। সবাইকে এক ছাতার নিচে এনে ধর্ম, বর্ণ, দল নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ধামরাইকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।’
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক হতে হবে। দেশের জন্য কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা তরুণ্যের জয়গানে বিশ্বাসী, এজন্য দেশকে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন এবং সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আপনারা সবাই তার পাশে থাকবেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রাশেদুল কবির রবিন বলেন, ‘গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ধামরাইয়ের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হন। তারা বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যান। আমরা যদি এই অ্যাসোসিয়েশন দাঁড় করাতে পারি তাহলে অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবো। সেই সঙ্গে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে গেছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। আমাদের অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজির আহমেদ তার অনুপ্রেরণায়-উদ্দীপনায় আমরা এগিয়ে যাব। যা আমাদের নেতৃত্বের বিকাশ করবে, প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও মানবিকতা।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন সিরাজ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক মঞ্জুরুল কাদির, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীমতি সন্ধ্যা রানী রায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক-কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সারোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি এম এ জলিল, গবি ট্রেজারার অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ এবং ধামরাইয়ের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে মঞ্চ মাতান গবির সংগীত সংগঠন জিবিএমসি এবং সন্ধ্যায় দেশের স্বনামধন্য ব্যান্ড বাংলা ফাইভ তাদের জনপ্রিয় গান দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ধাঁধার আয়োজন করা হয়।
সানজিদা পিংকি/ফিরোজ