ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ১৯ মে ২০২৪  
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ফলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ হতে চলেছে। নিয়মিত ক্লাস বাদ দিয়ে নিজ নিজ মেসে ফিরে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এমনি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।

গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। নিয়মিতভাবে আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। ফলে তীব্র গরমে শ্রেণিকক্ষগুলোতে নিয়মিত পাঠদানসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আবার অনেক বিভাগে চলছে পরীক্ষা। তীব্র গরমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বাধ্য হওয়ায় তাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

আবাসিক হলগুলোতেও চলছে একই অবস্থা। তাছাড়া আবাসিক হলের গণরুমগুলোতে প্রবেশ করলে মনে যেন আগুনের গুহায় প্রবেশ করা হয়েছে। এতে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন একাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনেও একই অবস্থা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পূর্বের তুলনায় শিক্ষার্থীরা এখন গ্রন্থাগারে খুবই কুম যাচ্ছেন। 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রন্থাগারে নিয়মিত পড়ুয়া গণিত বিভাগ ২০১৯-২০ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, সামনে আমার পরীক্ষা। মেসে ঠিকভাবে পড়তে পারি না। সেজন্য গ্রন্থাগারে পড়তে আসি। কিন্তু এখানে বিদ্যুতের মারাত্মক সমস্যা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে না। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমার মতো বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে। 

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফর্মারের ধারণক্ষমতা কম। একসঙ্গে এতোগুলো জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে যাবে। একবার ট্রান্সফর্মার নষ্ট হয়ে গেলে এটা মেরামত করতে অনেক সময় লাগবে। সেজন্য আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি, সেটা প্রতিটি জায়গায় অল্প অল্প করে সরবরাহ করছি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থী বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। এটা আমরা অনুভব করছি। সেজন্য আমরা খুব দ্রুত এ বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা করতে পারবো।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এরপরেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

/হৃদয়/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়