ঢাকা     সোমবার   ১৭ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ৪ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলন

আবারও অবরুদ্ধ গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ১১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২১:৩৮, ১১ জুলাই ২০২৪
আবারও অবরুদ্ধ গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক

‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, আগুন জ্বালো একসাথে’- স্লোগানে আবারও উত্তাল সড়ক। আপিল বিভাগের রায়ের বিপরীতে পুনরায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নেমেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা অবরোধ করায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম জনদুর্ভোগ দেখা দেয়। তবে জরুরি সেবাগুলো অবরোধমুক্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বৃষ্টির মধ্যে বিকেল সাড়ে ৪টায় গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, আন্দোলনে অংশ নিতে বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ডাকা হয়।

২ ঘণ্টা অবরোধ শেষে বিকেল সাড়ে ৬টায় সড়ক ছেড়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে যানজটে আটকে থাকা বাহনগুলো চলতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে কমতে থাকে জনদুর্ভোগ।

কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদালতের স্থিতাবস্থার ফলে সরকারি চাকরিতে কোটা না থাকলেও নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা সংস্কার চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজ। তারা মনে করছেন, এটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। আপিল বিভাগের রায় শুধু চার সপ্তাহের জন্য হলে চলবে না। আমরা অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫% কোটা চাই। এর বেশি আর কোনো কোটা থাকতে পারবে না।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ হোসেন রাজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা পড়াশোনা করতে এসেছি, আন্দোলন করতে আসিনি। কোটা নামক ভয়ানক অভিশাপের মধ্যে আমাদেরকে কেনো আবদ্ধ করা হচ্ছে? সংবিধান যেখানে সমতার কথা বলেছে সেখানে কেনো কোটা পদ্ধতি থাকবে? আমরা সমতায় বিশ্বাসী। আমরা মেধার পরিচয় দিয়ে চাকরি পেতে চাই। কোটা দিয়ে কেনো চাকরি পেতে হবে! 

তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। আন্দোলন করছি বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে। পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মত কোটা ব্যবস্থা নেই। কোটা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রকার মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এতো কষ্ট করে পড়াশোনা করে কি হবে, যদি আমাকে কোটার মাধ্যমে যাচাই করা হয়?

সড়ক অবরোধ নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী ওমর শরীফ সরকার বলেন, আমাদের এক দফা এক দাবি। আমরা সমতা চাই, বৈষম্য চাই না। পুলিশ দিয়ে আমাদেরকে দমাতে পারবে না। আমরা সাধারণ জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলতে চাই না। মেধার বিপরীতে যদি কোটা দিয়ে চাকরি পেতে হয়, তাহলে আমরা কেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছি? আমাদের নানা-দাদারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, এটা কি আমাদের অপরাধ? যতদিন পর্যন্ত কোটার সংস্কার না হবে, ততদিন পর্যন্ত এই সড়ক অবরোধ থাকবে।

/হৃদয়/মেহেদী/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়