সাপ আতঙ্কে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি || রাইজিংবিডি.কম
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন জায়গায় লতাপাতা ও ছোট-বড় আগাছায় ভরে গেছে। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় পরিচর্যার অভাবে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল ঝোপঝাড়। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় উপাসনালয়ের চারপাশে, ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হলের পাশে, প্রশাসনিক ভবনের পেছনে ও ভিসি বাংলো থেকে লাইব্রেরি ভবনমুখী রাস্তার পাশে, নীল দিঘির পশ্চিম পাশে, শান্তি নিকেতনের উত্তর পার্শ্বে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের চারপাশে, লাইব্রেরি ভবনের পাশে, মেডিক্যাল সেন্টারের পাশে ও গ্যারেজ এলাকা জঙ্গলে রূপান্তরিত হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, আগে ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ায় ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হলের সিঁড়ির পাশে ও আব্দুল মালেক উকিল হলের ওয়াশরুমে সাপের দেখা মেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দিঘির পাড়ে সাপের দংশনের শিকার হন ইইই বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এক-দেড় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সামনে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, হল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে সাপ মারা হয়েছিল। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ আতঙ্ক চরম আকার ধারণ করেছে।
ভাষা শহিদ আব্দুস সালাম হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঝোপঝাড়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তাগুলো সরু হয়ে যাচ্ছে। ফলে অতীতের ন্যায় দিনে-দুপুরে সাপ বেরিয়ে আসার শঙ্কা রয়েছে, এটা খুবই ভয়ানক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি, তাড়াতাড়ি যেন এর ব্যবস্থা করা হয়। সে সঙ্গে, শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিভেনমের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ ইফতেখার হোসেন বলেন, সাধারণত বন্যাপীড়িত এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। আর গত কিছুদিন আগে নোয়াখালী ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা হয়। বিষধর সাপ জলাভূমিতে বাস করে না, তারা শুকনো সমতল ভূমিতে বাস করে। আমাদের ক্যাম্পাস যেহেতু পানিতে তলিয়ে যায়নি, তার উপর অতিরিক্ত ঝোপঝাড় বেড়ে যাওয়ায় সাপরা এখানে বসবাস শুরু করতে পারে। এতে শিক্ষার্থী কিংবা মানুষজনের চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশেষ করে রাতে হাঁটাচলার সময় বিপদ হতে পারে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা অতীব জরুরি। ঝোপঝাড়ের কারণে মশা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে নতুন সেশনের শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটবে সামনের মাসগুলোতে। সব মিলিয়ে এখন থেকেই ঝোপঝাড় পরিষ্কার করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাট অ্যান্ড হাউজিং শাখার প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্টার মো. গোলাপ হোসেন বলেন, পরিষ্কারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
/মেহেদী/