ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ৩০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইবি শিক্ষক হাফিজের স্থায়ী অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫  
ইবি শিক্ষক হাফিজের স্থায়ী অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের

সমকামিতা প্রচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। তার স্থায়ী অপসারণের দাবিতে উপাচার্য বাসভবন ঘেরাও করেছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে তারা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য বাসভবনে গিয়ে অবস্থান করেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তদন্ত না ভণ্ডামি, ভণ্ডামি ভণ্ডামি’, ‘প্রশাসন সিদ্ধান্ত, মানি না মানবো না’, ‘প্রহসনের বিচার, মানি না মানবো না’, ‘প্রশাসনে প্রহসন, মানি না মানবো না’, ‘বিচার না পুরস্কার, পুরস্কার পুরস্কার’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হাফিজের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘হাফিজ হটাও, ক্যাম্পাস বাঁচাও‘সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীপ সাহা বলেন, “হাফিজের বিরুদ্ধে আমাদের অসংখ্য অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রশাসন বিচারের নামে একটা প্রহসন করেছে। তাকে মাত্র ১ বছরের ছুটিতে পাঠিয়েছে। এতে মনে হচ্ছে, তাকে প্রশাসন পুরস্কৃত করেছে। আমরা এ বিচার প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা হাফিজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার চাই। আমরা লম্পটমুক্ত ক্যাম্পাস চাই।”

তিনি বলেন, “আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছি। প্রশাসন সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কথা দিবে তারপরে আমরা এখান থেকে উঠব। তার বিরুদ্ধে ২৭টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তারপরেও তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখেছি। কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কিছুই করেনি। হাফিজ যদি ১ বছর পর আবার বিভাগে ফিরে আসে, তাহলে সে শিক্ষার্থীদের জীবন শেষ করে ফেলবে। আমরা এ হুমকির মধ্যে থাকতে চাই না। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই। সে বিভাগকে একটি টর্চারসেল বানিয়ে ফেলছিল। পুনরায় আবার টর্চারসেল বানানোর পায়তারা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।”

এর আগে, গত ৭ অক্টোবর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হেনস্তা, আপত্তিকর মন্তব্য, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, দাড়ি থাকলে শিবির ট্যাগ দিয়ে হেনস্তা, ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল খারাপ করে দেওয়া, সমকামিতাসহ ২৭ দফা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক আটকে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও তার কুশপুত্তলিকায় জুতা নিক্ষেপ ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলসহ ১ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়