ঢাকা     রোববার   ১৮ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩২

কুবির ভর্তি পরীক্ষা: যানজটে স্বপ্ন ভঙ্গ ৭ ভর্তিচ্ছুর

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৯:১১, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
কুবির ভর্তি পরীক্ষা: যানজটে স্বপ্ন ভঙ্গ ৭ ভর্তিচ্ছুর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দেরিতে উপস্থিত হওয়ায় দুই শিফটে সাত পরীক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কুবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম শিফটে রাস্তায় যানজটের কারণে মো. সাজ্জাদ নামে এক পরীক্ষার্থী ২১ মিনিট পর কেন্দ্রে উপস্থিত হন। তিনি ঢাকার শ্যামলী থেকে এসেছিলেন। তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল কুবির কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে। এই শিফটে সাজ্জাদসহ মোট চারজন পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের পরীক্ষায় বসতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নির্দেশনায় রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু চার শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর পর কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগীদের অন্যতম পরীক্ষার্থী সিফাত বলেন, “৫ মিনিটের বেশি হওয়ায় আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। আর নারায়ণগঞ্জ থেকে আসতে দেরি হয়ে গেছে। তাই পরীক্ষার হলে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমার আর কিছু বলার নেই।”

অন্যদিকে, যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারায় দুপুরে সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া একই ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় তিন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেননি।

জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পড়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা থেকে আসা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এসেছিলেন সাবিহা মুনতাহা, মোহাম্মদ হিমেল ও মো: সাহেদ। তারা পরীক্ষা শুরুর ২০, ২৫ ও ২৬ মিনিট পর কেন্দ্রে উপস্থিত হন। ফলে তাদেরও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। এতে তারা মনে নিদারুণ কষ্ট নিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

ঢাকা থেকে পরীক্ষা দিতে আসা মো: সাহেদ বলেন, “আমি ঢাকা থেকে এসেছি। ২৬ মিনিট দেরি হওয়ায় শিক্ষকরা নিয়মনীতি অনুসরণ করে আমাকে প্রবেশ করতে দেননি। একটু খারাপ লাগা আছে, তবুও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার নিজের প্রতি কিছুটা খারাপ লাগা থাকলেও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে একইদিনে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা রাখা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটু ভাবা উচিত ছিল।”

সাবিহা মুনতাহা বলেন, “আমি ঢাকা সাভার থেকে আসছি। ২০ মিনিট দেরি হওয়ায় আমাকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। আমার আর অন্য কোথাও চান্স হয়নি। অনেক স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। এটা ভাগ্যে ছিল, মেনে নিয়েছি।”

ঢাকা থেকে আসা আরেক পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ হিমেল বলেন, “ঢাকা থেকে আসতে ২৫ মিনিট দেরি হওয়ায় আমি পরীক্ষা দিতে পারিনি। রাস্তায় প্রচুর যানযট ছিল। গুচ্ছ থেকে বের হয়ে এখন আরো ভোগান্তি বেড়েছে। কখনো ভাবিনি, এ রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমার কিছু বলার নেই।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়