ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

শাবিপ্রবির হিট প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংয়ের অভিযোগ

শাবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০০, ৭ আগস্ট ২০২৫  
শাবিপ্রবির হিট প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংয়ের অভিযোগ

বিশ্বব্যাংক অর্থায়নে পরিচালিত ৪ হাজার কোটি টাকার ‘উচ্চশিক্ষা বেগবান ও রূপান্তর (হিট)’ প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক লবিংসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে ‘বিক্ষুব্ধ শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা।

আরো পড়ুন:

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা বলেন, প্রজেক্ট নির্বাচনে মেধা ও যোগ্যতার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ বলে, প্রায় ৪০ শতাংশ লো প্রোফাইলধারী (টোটাল সাইটেশন ১০০ এর কম) গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ৫০০ সাইটেশনের কম আছে এমন ৪০ শতাংশ গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 

এ সময় রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত মান ও স্বার্থের দ্বন্দ, ‘ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউ’ এর দাবি মিথ্যা, প্রেজেন্টেশনে নিয়ম বহির্ভুত মূল্যায়ন, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, প্রাক-বাছাই পদ্ধতির অনুপস্থিতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি অবহেলা, রিসার্চ কোয়ালিটির নামে বিভ্রান্তি এবং অনেক রিসার্চ ফিল্ডের প্রতি অবহেলার অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।

এছাড়া করোনা মহামারিকালে জাতীয় অবদান থাকা স্বত্ত্বেও প্রকল্প বাতিল, শিল্প সহযোগী (পার্টনারিং এগ্রিমেন্ট) ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্টে অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বা বিভাগভিত্তিক প্রকল্প সংখ্যা ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য, নৈতিক ও আদর্শগত সংকট, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রভাব, চূড়ান্ত বাছাই বোর্ডে তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার এবং হিট রিভিউ পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ব্যবস্থাপনার নামে অর্থের অপচয় হয়েছে বলেও অভিযোগে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা তিনটি দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- সুষ্ঠু প্রক্রিয়া অবলম্বন না করায় নির্বাচিত প্রজেক্টগুলো বাতিল করতে হবে; ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খান, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান ও প্রকল্প পরামর্শক অধ্যাপক মোজাহার আলীকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসতে হবে; তাদের যথোপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং নতুনকরে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে রিভিউ করে প্রজেক্ট নির্বাচন করতে হবে।

এসব দাবি না মানা হলে তারা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ড. সাহাবুল হক, অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

অভিযোগের বিষয়ে ইউজিসি সদস্য ড.মোহাম্মদ তানজিম উদ্দিন খানকে একাধিকবার কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়