ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ শেষ করার ঘোষণা দিলেন কাদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে আলাপ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবদুল কাদের।

ডাকসুর ফলাফল প্রকাশের পর বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৪টার দিকে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য এবং প্রক্টরকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসুবক পোস্টে আবদুল কাদের লেখেন, “ভিসি এবং প্রক্টরকে অভিনন্দন জানিয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ এখানেই শেষ করলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুভকামনা, শিক্ষার্থীদের জন্য শুভকামনা। ঢাবি এবং দেশের মানুষের যেকোনো সংকটকালে আমি আছি, যেমনটা বিগত দিনে ছিলাম।’

এদিকে, ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, “কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একি ইতিহাস, একি ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো।”

তিনি বলেন, “অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে। নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।”

এর আগে, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টা ২৪ মিনিটে ‘কারচুপির নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে ডাকসুর ভোট বর্জন করে তিনি ফেসবুকে লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।”

এছাড়া রাত ২টা ১৯ মিনিটে হা হা ইমুজি দিয়ে আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেসেন?!”

ডাকসুর ভোট উমামার পাশাপাশি ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানও বর্জন করেন।

রাত ২টা ২০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবিদ বলেন, “পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।”