পরবর্তী লক্ষ্য কানাডায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন বাজার খুঁজে পণ্য রপ্তানির নির্দেশ দিয়েছেন। কানাডা অনেক বড় বাজার। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য কানাডায় পাটজাত পণ্য রপ্তানি করা।'
শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল আমারিতে ‘এক্সপোর্ট লঞ্চপ্যাড বাংলাদেশ’ প্রথম পর্বে ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে ট্রেড প্রফেশনাল সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এসএমই খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বর্তমানে কানাডায় ১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। আমাদের অনেক পণ্য আছে, কিন্তু রপ্তানি আয় অল্প। এজন্য আমরা পাটজাত পণ্য সেখানে রপ্তানি করব। কানাডায় রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে। কানাডার একটি প্রদেশে সম্প্রতি প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতএব, আমাদের পাটজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ বেড়েছে। শুধু কানাডা নয়, বিশ্বব্যাপী পাটজাত পণ্য রপ্তানির সুযোগ বেড়েছে। সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। তবে সুযোগ বেড়েছে ডিজিটাল মার্কেটের। এসএমই খাতে নারীরা এগিয়ে আছেন।’
ঢাকায় নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনোয়া প্রেফনতেন বলেন, ‘কানাডায় পণ্য রপ্তানির বেশ সুযোগ আছে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর। কানাডার অনেক বড় কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে। এসএমই খাতের উদ্যোক্তারাও কানাডায় কৃষি ও খাদ্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কানাডা এসএমই সেক্টরকে অগ্রাধিকার দেয়। কানাডার ৯০ শতাংশ মানুষ এসএমই সেক্টরে কাজ করেন। এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের ডিরেক্টর হানি সালেম সম্বল, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, টিএফও কানাডার নির্বাহী পরিচালক স্টিভ টিপম্যান, অতিরিক্ত বাণিজ্য সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ও নারী উদ্যোক্তারা।
ঢাকা/সাইফুল/সুমন/রফিক
আরো পড়ুন