ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কোরাম সংকটে সাফটার বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা স্থগিত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১  
কোরাম সংকটে সাফটার বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা স্থগিত

কোরাম সংকটের কারণে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় সাউথ এশিয়া ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (সাফটা) এর বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা স্থগিত করা হয়েছে। 

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

সূত্র জানায়, সম্প্রতি সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন (সার্ক) এর সচিবালয়ের সহকারী সচিব (সার্ক) তামান্ন তাবাসসুম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সাফটা বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা স্থগিতের কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশসহ সব সদস্য দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া এবং নেপালে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে সাফটার প্রধান সভা গত জুলাই মাসে স্থগিত করা হয়েছিল। এছাড়াও, ভারত সেই সময় করোনাভাইরাসের চরম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, সার্কের বড় সদস্যরা আঞ্চলিক চুক্তির শর্তাবলী মেনে চলতে চায় না।  যদি সাফটা বাস্তবায়িত হয়, বাংলাদেশি পণ্য সার্কভুক্ত সব দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আমরা সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে বহুবার কথা বলেছি।  কিন্তু তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থ প্রদানের ভারসাম্য চলমান বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উল্লেখ উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর বিশাল সুযোগ রয়েছে।  আমরা সে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সাফটার অধীনে বাংলাদেশের বাণিজ্য সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি। ইতোমধ্যে আমরা ভারতের সঙ্গে একটি অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে একটি সমীক্ষা করেছি।

গত বছর নভেম্বরে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল।  তাতে  বাংলাদেশ থেকে পাঠানো পণ্যের উপর নতুন শুল্ক বিধি প্রয়োাগ না করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। চিঠিতে ভারতকে অনুরোধ করেছে সাফটা চুক্তি মেনে বাংলাদেশকে তার যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য।

সার্ক প্রিফারেনশিয়াল ট্রেডিং এগ্রিমেন্ট (সাপটা), সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া (সাফটা) এবং এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এপিটিএ) এর অধীনে, বাংলাদেশ মদ ও তামাকসহ ২৫ টি পণ্য ছাড়া সব পণ্য রপ্তানির জন্য শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করছে।  এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তথ্যে দেখা যায় এ সময় বাংলাদেশ ভারত ১.০৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।

সেই সময় ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ছিল ৫.৭৭ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪.৬৮ বিলিয়ন ডলার।

রপ্তানিমুখী নিট পোশাকের সংগঠন বিকেএমইএ-র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, গত দুই থেকে তিন বছর ধরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্রমাগত বাড়ছে। এ কারণেই ভারত বাংলাদেশের চালান ঠেকাতে নতুন শুল্ক নিয়ম চালু করেছে। এটা স্পষ্টভাবে আমাদের জন্য একটি শুল্কবিহীন বাধা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা শিপমেন্ট পরীক্ষার নামে ভারতের অনেক রাজ্যে অতিরিক্ত শুল্কের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

হাসনাত/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়