ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিদেশি ‘তামাক বাজার’ প্রতিরোধে আইনের বাস্তবায়ন দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ১৮ মার্চ ২০২৩  
বিদেশি ‘তামাক বাজার’ প্রতিরোধে আইনের বাস্তবায়ন দাবি

তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সিগারেটের নিম্নস্ল্যাব দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছে দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত হতে আর এই খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত হতে। প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সব সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি/অবকাশ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চান।

২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য নীতিমালা গ্রহণকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধুমাত্র মধ্যম এবং উচ্চস্তরে তৈরি করা যাবে। নিম্নস্তরে কোনও বিদেশি ব্র্যান্ড আমরা অ‌্যালাউ করব না। এটা শুধুমাত্র দেশি শিল্পের জন্য দেশি ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।’

এই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতোপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহীত সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধুমাত্র সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক। এ খাতে সরকারের চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরিত হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ খাতের ব্যবসায়িক লাভ ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাগো কোম্পানি বিএটিবিসি ডিভিডেন্ড হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই লাভের কোনও অংশ দেশের অন্য কোনও খাতে বিনিয়োগ করে না। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানির লাভ দেশেই থেকে যায় এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব সঞ্চারী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটনীতি অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষে নিম্নস্ল্যাবের ব্র্যান্ড শুধুমাত্র শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এর মূল্যবৃদ্ধি না করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানিগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিতে হবে।

তাছাড়াও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বণ্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

পারভেজ/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়