ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

সরকারি ব্যাংকের লোকসানি শাখা বেড়েছে 

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১২ আগস্ট ২০২৩   আপডেট: ০৯:০৫, ১২ আগস্ট ২০২৩
সরকারি ব্যাংকের লোকসানি শাখা বেড়েছে 

এক বছরের ব্যবধানে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৩১টি। লোকসানি শাখার দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে জনতা ব্যাংক। নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখা বেড়ে চলেছে। সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী গত জুন শেষে ছয়টি ব্যাংকের মোট লোকসানি শাখার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৬০টি। এর আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছর শেষে ব্যাংকগুলোর লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ১২৯টি। সে হিসাবে এক বছরে ব্যাংকগুলোর মোট লোকসানি শাখা বেড়েছে ৩১টি। এরপরও চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর মোট লোকসানি শাখার স্থিতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৮টি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ)-এর আওতায় সমাপ্ত ২০২২-২০২৩ অর্থবছর শেষে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮টি। সে হিসাবে সার্বিকভাবে ব্যাংকগুলোর অর্জন লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি।

পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, আগের অর্থবছরের তুলনায় সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা কমেছে; অন্য দিকে বেড়েছে জনতা, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল-এর। তবে এপিএ’র লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, লোকসানি শাখা বেশি শুধু বেসিক আর বিডিবিএল-এ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় সমাপ্ত অর্থবছরে রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ১৬টি। এপিএ’র আওতায় সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০টি। এর বিপরীতে গত জুন শেষে রূপালী ব্যাংকের মোট লোকসানি শাখার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৬টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ১০টি।

এক বছরের ব্যবধানে বিডিবিএল-এর লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৯টি। এপিএ’র আওতায় বিডিবিএল-এর লোকসানি শাখার স্থিতি ১৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ১৫টি।

বেসিক ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৮টি। এপিএ’র আওতায় ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ২৩টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ২৩টি। 

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোকসানি শাখা জনতা ব্যাংকে। এক বছরের ব্যবধানে জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৭টি। এপিএ’র আওতায় ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ৫০টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৭টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ৪০টি।
সমাপ্ত অর্থবছরে অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা ৬টি কমেছে। এপিএ’র আওতায় ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ৩৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ২৪টি।

জানা গেছে, এক বছরের ব্যবধানে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার সংখ্যা কমেছে ৩টি। এপিএ’র আওতায় ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ২৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছিল। এর বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের শাখার স্থিতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪টি। এর আগের অর্থবছর শেষে ব্যাংকটির লোকসানি শাখার স্থিতি ছিল ১৭টি।

এদিকে, এপিএ’র আওতায় চলতি অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ২২টির মধ্যে; জনতা ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ৪৬টির মধ্যে; অগ্রণী ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ৩০টির মধ্যে; রূপালী ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ২৫টির মধ্যে; বেসিক ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ২০টির মধ্যে এবং বিডিবিএল-এর ব্যাংকের লোকসানি শাখার স্থিতি ১৫টির মধ্যে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে বলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়