ঢাকা     রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

থোক বরাদ্দের অর্থ খরচে অনুমতি লাগবে অর্থ বিভাগের 

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ৪ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ০৮:২০, ৪ নভেম্বর ২০২৩
থোক বরাদ্দের অর্থ খরচে অনুমতি লাগবে অর্থ বিভাগের 

থোক বরাদ্দের অর্থ ছাড় করতে অর্থ বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হবে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় থাকা থোক হিসেবে সংরক্ষিত অর্থ বরাদ্দে অর্থ বিভাগের অনুমতি লাগবে।

সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের অংশ হিসেবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাজেট-২ অনুবিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।

‘২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় পরিকল্পনা কমিশন এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে থোক হিসেবে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত অর্থ বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত’ শীর্ষক আদেশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে চলমান কৃচ্ছ্র সাধনের অংশ হিসেবে চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে জিওবি বাবদ সংরক্ষিত অর্থ এবং মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে ‘অননুমোদিত নতুন প্রকল্পের জন্য থোক’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবি’র সম্পূর্ণ অংশ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া বরাদ্দ প্রদান করা যাবে না।

এর আগে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই (২ জুলাই, ২০২৩) বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি খাতসহ কয়েকটি খাতে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় সঙ্কোচনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এছাড়া সব ধরনের যানবাহন ক্রয়, ভূমি অধিগ্রহণ, আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়।

‘২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কতিপয় ব্যয় স্থগিত বা হ্রাসকরণ ও বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণ’ শীর্ষক ওই পরিপত্রে বলা হয়েছিল, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ এবং পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে।

পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ থাকবে, তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা পরিপালনপূর্বক অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান ও আকাশযান খাতে বরাদ্দকৃত অর্থব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। অন্যদিকে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার যানবাহন (মোটরযান, জলযান ও আকাশযান) ক্রয় বন্ধ থাকবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ, সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা  বিশ্ববিদ্যালয়, দেশ থেকে প্রদত্ত স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন; বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং সরবরাহকারী, ঠিকাদার বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাগণ থেকে সেবা বা পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা পরিদর্শনে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।

ঢাকা/হাসনাত/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়