ঢাকা     সোমবার   ২০ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

আইএমএফের ঋণের অর্থ ছাড় নিয়ে উদ্বেগ নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৩, ৮ মে ২০২৪  
আইএমএফের ঋণের অর্থ ছাড় নিয়ে উদ্বেগ নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

সচিবালয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। ঋণদাতা সংস্থাটি নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। এটা আমরাও চাচ্ছি।

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে ঢাকা সফররত আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

গত ২৪ এপ্রিল থেকে টানা ১৫ দিন ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে আইএমএফের প্রতিনিধিদল। বুধবার অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ প্রতিনিধিদল। তারা অর্থ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ঋণের শর্ত ও সংস্কারে কতটা অগ্রগতি এবং আরও কতটা করতে হবে, সেই সুপারিশের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ নেই। আইএমএফ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সুদহারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। জলবায়ু ও দুর্যোগ মোকাবিলার পরামর্শ অনুসরণ করে চলতি বছরেই কাজ শুরু করবে সরকার।

করের হার বা আওতা বাড়ানোর যে আলোচনা আছে, তাতে মানুষের কষ্ট বাড়বে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শর্ত পূরণ করতে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি হয়, এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না বাংলাদেশ।

আইএমএফের রিভিউ দলের সফর নিয়ে এদিন কথা বলেন অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদারও। তিনি জানান, ১০টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ কেন একটি পূরণ করতে পারেনি, তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ পক্ষ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে রিজার্ভে যোগ হতে পারে তৃতীয় কিস্তির টাকা।

আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সফরে ঋণ পেতে বেঁধে দেওয়া শর্ত পূরণ ও সংস্কার কতটা হয়েছে, সে বিষয়গুলোই খতিয়ে দেখেছে আইএমএফের বিশেষজ্ঞ দলটি। মোটা দাগে বাজেটের আকার, রাজস্ব আয়, যৌক্তিক ভর্তুকি নির্ধারণ ও নিট রিজার্ভ নিয়ে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা ও সুপারিশ দিয়েছে এই দল।

বাংলাদেশ পক্ষ বলছে, রিজার্ভ ছাড়া যেহেতু অন্যান্য শর্ত পূরণ করা হয়েছে, সেহেতু ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। যদি এই রিভিউ মিশনের মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় কিস্তি ছাড় করে আইএমএফ, তাহলে সেটির পরিমাণ সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ডলার হতে পারে।

চলতি মে মাসের শেষদিকে কিংবা আগামী জুনের শুরুতে তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করতে পারে আইএমএফ। বাংলাদেশের জন্য অনুমোদন করা ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে আইএমএফের প্রতিনিধিদল ঢাকায় তাদের মিশন পরিচালনা করছে। প্রতিনিধিদলটি সরকারের অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সভা শেষ করেছে।

এরই মধ্যে দুই কিস্তিতে আইএমএফের ঋণের অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ছাড় করে সংস্থাটি।

হাসনাত/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়