বেসরকারি ‘শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি’ স্থাপনের অনুমতি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ৬ ধারা অনুযায়ী প্রস্তাবিত ‘শেখ হাসিনা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ থেকে শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দেওয়া হয়।
শর্তগুলো হলো-
১। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এ বর্ণিত সকল বিধান ও শর্ত মেনে চলবে।
২। প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনায় উদ্দেশ্যে অনধিক ২১ সদস্যের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে।
৩। পাঠদানের জন্য প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমন রুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে।
৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে।
৫। ন্যূনতম তিনটি অনুষদ এবং এসব অনুষদের অধীনে কমপক্ষে ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।
৬। শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।
৭। প্রত্যেক বিভাগ ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৮। নিয়োজিত শিক্ষক অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের মূল নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ছাড়পত্র কমিশনে জমা দিতে হবে।
৯। নিবিড় পাঠক্রম এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়নসহ প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
১০। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য অন্যূন ৫ কোটি টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য অন্যূন ৩ কোটি টাকা এবং অন্যান্য এলাকার জন্য দেড় কোটি টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।
১১। প্রস্তাবিত বিশ্বদ্যিালয় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিকর বিবেচিত হতে পারে এমন কোনো কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশ নেবে না।
১২। জঙ্গি তৎপরতা বা এ জাতীয় কোনো কার্যকলাপে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করবে না।
ইয়ামিন/রফিক
আরো পড়ুন