ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এইচএসসির প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক বিতর্ক’, ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৮ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:০৩, ৮ নভেম্বর ২০২২
এইচএসসির প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক বিতর্ক’, ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়

প্রশ্নপত্র। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রণীত প্রশ্নপত্র ধর্মীয় সংবেদনশীলতাকে ক্ষুণ্ন করেছে, অমূলক প্রসঙ্গ টেনে ধর্মীয় উসকানি দেওয়া হয়েছে, যা মোটেও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার।

গত রোববার (৬ নভেম্বর) সারা দেশে এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বোর্ডের ‘কাসালাং’ সেটের নাটক-সিরাজুদ্দৌলা অংশের ১১ নম্বর প্রশ্ন নিয়ে দেখা দিয়েছে এ বিতর্ক। তবে বোর্ড বলছে, এটা কীভাবে হয়েছে তারা জানে না। এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

প্রশ্নে বলা হয়েছে, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিস বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’

এ বিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, ঢাকা বোর্ডের প্রশ্ন এটি, তবে অন্য বোর্ডের মাধ্যমে এসেছে। তবে কোন বোর্ড বা কারা কারা এটার সঙ্গে জড়িত ছিল তা আমরা চিহ্নিত করবো। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

এদিকে, প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় আসাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া থাকে প্রশ্ন তৈরির ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতার কোনো কিছু না থাকে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এই প্রশ্নটি করেছেন। যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনো কারণে এড়িয়ে গেছে। তিনিও হয়ত স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এই প্রশ্নটি কে করেছেন এবং কে মডারেটর করেছেন। আমরা তাদের খুঁজে বের করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

/ইয়ামিন/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়