আব্বুর সঙ্গে ম্মৃতি খুব নাড়া দেয় : এলমা সিদ্দিকী
রাহাত সাইফুল : লোকধারার গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী। গুণী এই সংগীতশিল্পী অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে গত বছর ২৪ নভেম্বর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। তার একমাত্র কন্যা এলমা সিদ্দিকী। বাবার মতো তিনিও সংগীতচর্চা করেন। আজকের এই দিনে তিনি রাইজিংবিডির কাছে তুলে ধরেছেন বাবার কিছু স্মৃতি।
এলমা সিদ্দিকী বলেন, ‘আব্বুকে নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। তারপরও এই মাসেরই একটি স্মরণীয় স্মৃতি রয়েছে। নভেম্বরের ১৫ তারিখ আব্বুর জন্মদিন। একবার জন্মদিনে আব্বুর সঙ্গে একটি ছবি তুলেছিলাম। এই ছবিটা দেখে এখনও আব্বুকে মিস করি। সেই সময়টা আমি বাইরে থেকে এসেছি মাত্র। ওয়েদারটা এডজাস্ট করতে পারছিলাম না। একটু অসুস্থ ছিলাম। আব্বু নাশপাতি কেটে দিতে বলল। কেটে দিলাম। আব্বুর জন্মদিনে কী আয়োজন করা যায় ভাবছিলাম। হঠাৎ আব্বু বলল, এখন আর কিছু করতে হবে না। আমরা তো নাশপাতি খেলামই। আসলে সেদিন বাসায় কেউ ছিলো না। আমার শরীর খারাপ ছিলো বিধায় আব্বু আমাকে আর কষ্ট দিতে চাননি। এই স্মৃতি খুব নাড়া দেয়। সারা জীবন ঘটনাটা মনে থাকবে। কখনো ভুলতে পারবো না।’
এলমা লন্ডন থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরেছেন। এখন থেকে শুধু গান নিয়েই থাকতে চান। বাবার সান্নিধ্যে থেকে গানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন এলমা। বারী সিদ্দিকীর মৃত্যুর পর এলমা সিদ্দিকীর প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে এলমা বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে অ্যালবাম প্রকাশের পরিকল্পনা করছিলাম। বাবা কিংবা আমি এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করতে চাইনি। তাছাড়া বাবা ব্যস্ত ছিলেন, তাই আমিও চাপ দিইনি। স্বতঃস্ফুর্তভাবে কাজটা এগিয়েছে। অ্যালবামটা প্রকাশ পেয়েছে। বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই খুব খুশি হতেন।’
প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোনার কারলি গ্রামে বাউল বাড়িতে আজ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। বারী সিদ্দিকী মৃত্যুর আগে দুই বছর কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ডায়াবেটিসও ছিল। গত বছর ১৭ নভেম্বর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর আজকের এই দিনে তিনি মারা যান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ নভেম্বর ২০১৮/রাহাত/তারা
রাইজিংবিডি.কম