‘ঈদের আগে নাটকের শুটিং বন্ধ হলে শত কোটি টাকা ক্ষতি’
ঈদুল আজহার ‘কনটাক্ট ভাই’ নাটকের দৃশ্য
করোনায় মৃত্যু হার বেড়েছে। দেশজুড়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। এ সময় টেলিভিশন নাটকের শুটিং করা যাবে কিনা সে বিষয়ে কোনো দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজও নাটকের শুটিং হচ্ছে।
কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করে দেশের টিভি চ্যানেলগুলো। অনেক নাটক নির্মাণের অপেক্ষায় রয়েছে। ‘যমজ’খ্যাত নির্মাতা আজাদ কালাম রাইজিংবিডিকে জানান, আগামী ৭ জুলাই থেকে ঈদের নাটকের শুটিং শুরু করবেন তিনি। এছাড়া আরো কয়েকজন নাট্যনির্মাতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- ঈদ সামনে রেখে তারাও শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে শুটিংয়ের বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘ কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে? সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম রাইজিংবিডিকে বলেন—‘আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করছি। এখন যারা শুটিং করছেন, তাদের দ্রুত কাজ শেষ করে চলে আসতে বলেছি।’
তা হলে কি শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জবাবে আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘আমরা শুটিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেই নাই, আবার শুটিং করতেও বলছি না। লকডাউনে গণমাধ্যম চালু থাকছে। আমরাও গণমাধ্যমের অংশ। গণমাধ্যম বলতে যদিও সংবাদমাধ্যমকে বোঝায়। কিন্তু একটি স্টেশন (টিভি চ্যানেল) শুধু সংবাদ দিয়ে চলে না। অনেক সময় একজন গণমাধ্যমকর্মী ফোনেও কাজ শেষ করতে পারেন। কিন্তু একটি প্রোডাকশন তো ফোনে ফোনে শেষ করা যায় না। সুতরাং যারা নিরুপায় তারা গণমাধ্যমের তত্ত্বাবধানে যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজ করবেন।’
ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলুর মুঠোফোনে আজ একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার (৩০ জুন) এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে আমরা কাজের সুযোগ চাই। সামনে ঈদ। এই সময় আমাদের কলাকুশলীরা নিয়মিত কাজ করেন। শুটিং বন্ধ থাকলে তারা কাজ করতে পারবেন না, না খেয়ে থাকতে হবে। এই ক্ষতি আমরা কোনো আর্থিক সহযোগিতায় পোষাতে পারব না।’
এ পরিস্থিতিতে শুটিং পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে টিভি ইন্ডাস্ট্রি বড় লোকসানের মুখে পড়বে বলেও মনে করেন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। তার ভাষায়—‘আমাদের এই সেক্টরে দিনভিত্তিক উপার্জন। যে একদিন কাজ করবে সে টাকা পাবে, যে করবে না সে পাবে না। এখন পুরোপুরি শুটিং বন্ধ হয়ে গেলে শত কোটি টাকা লোকসান হবে।’
ঢাকা/তারা