ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এতো বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কখনো যাইনি: শরীফুল রাজ

প্রকাশিত: ১৭:১০, ৪ জুন ২০২৩   আপডেট: ১৭:৪৪, ৪ জুন ২০২৩
এতো বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কখনো যাইনি: শরীফুল রাজ

বছর খানেক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল শরিফুল রাজ-পরীর সংসারে ভাঙনের সুর। সম্প্রতি শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালের ভাইরাল ছবি ও ভিডিও নিয়ে সরগরম শোবিজসহ পুরোদেশ।

শুক্রবার (২ জুন) ফেসবুকে এসে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। এ সময় তিনি ভিডিওটি ভাইরালের জন্য পরীমণিকেই দায়ী করেন। তবে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলে পরীমণির কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথাও জানান তিনি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে রাজের সঙ্গে ফোনে কথা হয় জয়ের। তাদের ফোনালাপে ভিডিও ভাইরাল প্রসঙ্গে নানান ইস্যু উঠে আসে। জয়ের সঙ্গে দীর্ঘসময় সুখ-দুঃখের অনেক কথা বলেন রাজ।

রাজ বলেন, বিয়ের আগের কারও অতীত নিয়ে তো আমি চিন্তিত না। আমি তো এগুলো নিয়ে কথা বলি না বা অসম্মান করি না। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সেটা আমরা কথা বলে সমাধান করতে পারি। আমার ঘরের যেকোনো ইস্যুতেই সাংবাদিকরা ফোন করে অনুরোধ করে, তোমরা ঠিক করো সবকিছু। আমাকে নিয়ে নিউজ করে তারা। অথচ আমি পাশের টেবিলে বসে ওয়াইফকে নিয়ে ডিনার করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে খবর দেখতে পাই আমাকে ডিভোর্স লেটার দিয়ে ছুটি দিয়েছে। এসবের কারণ আমি নিজেও জানি না আসলে বিষয়গুলো এখন কোনদিকে যাচ্ছে।

জয় বলেন, পরীমণির এতো সুন্দর সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, কানেও গিয়েছে এটা। এই সিনেমাটি দিয়েই কিন্তু ও অনেক দূর চলে যেতে পারতো। আমি আসলে বুঝি না ও বেশি বুদ্ধিমতি, নাকি বোঝে না। এ সময় জয়ের কথায় সহমত পোষণ করে রাজ বলেন, একই প্রশ্ন আমারও। আর ওর সঙ্গে সব ভালো মানুষরা থাকে তো... তাই এমন হয়।

রাজের উদ্দেশে জয় বলেন, তুমি যেসব ভালো মানুষের কথা বলেছো, সেটা আমি বুঝেছি। কিন্তু তুমি স্বামী হিসেবে এই জায়গাটা ক্লিন করো।

জবাবে রাজ বলেন, আমি ক্লিন করতে গেলে, আমাকে অ্যাক্টিং বাদ দিয়ে যেটা করতে হবে সেটা কি সবাই নিতে পারবে? সেটা করতে গেলে অনেক বড় ঘটনা ঘটে যাবে।

জয় বলেন, তাহলে তুমি চুপচাপ কাজ করে যাও। এটাই তোমার জন্য আমার সাজেশন। এই যে তুমি আমাকে এতোগুলো কথা বললা। তুমি কিন্তু অনেক ডিসেন্টভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেছো। এমন পারসোনাল কোনো কিছু শেয়ার করো নাই আমার সঙ্গে, যেটা একটা খবরের হেডলাইন হতে পারে। তুমি তোমার ওয়েতে পর্যবেক্ষণ করেই বলেছো। আমার তোমাকে খুবই ডিসেন্ট মনে হয়েছে। শুধু তুমিই না, পরীকেও যখন দেখি অনেক ডিসেন্ট মনে হয়।

জয় আরও বলেন, ফ্যামিলি বিষয়টাকে নিয়ে আর মাথায় কোনো প্রেসার রেখ না। এটাকে ক্লিয়ার করো। যেটা তোমার ভালো মনে হয় সেটা করো। পাশাপাশি তোমার কাজটাও করো। দিন শেষে আমার মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মোবাইলের ভিডিওগুলো পাঁচ বছর আগের, যা করছো এবার বাদ দাও। সাবধান হও আর এসব ভিডিও করো না। দরকারটা কি পারসোনাল মুহূর্ত, ফ্রেন্ডশিপের মুহূর্ত ভিডিও। আসলে কারও করা উচিত না। ভিডিও করে রাখলে কোনো একসময় সেটা ভাইরাল হবেই। এগুলো আসলে খুবই বাজে প্র্যাকটিস। পাঁচ বছর আগে প্রথম আসছে টেকনোলজি, তখন আমরা বুঝিনি তাই করেছি। এখন দেখো এগুলোর জন্য কত ভিকটিম হতে হচ্ছে।

এসব কথার প্রেক্ষিতে রাজ বলেন, জীবনে যত স্ট্রাগল করেছি, এতো বাজে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাইনি। যখন আমার ভালো সময় কাটানোর কথা, তখন আমি সবচেয়ে বেশি হয়রানি হচ্ছি, খারাপ সময় যাচ্ছে।

জয় বলেন, তোমরা যদি কমফোর্ট না হও। কত মানুষই না জানিয়ে সংসার করে, সমস্যা হয়, সমঝোতাও করে। তোমাদের এই স্টেজে এসে অনেক বেশি ম্যাচিউর হওয়া দরকার ছিল। কেন বাইরের মানুষ তোমাদের ভেতরের খবর জানবে।

রাজ বলেন, আমাদের অনেক ম্যাচিউর হওয়ার কথা ছিল, আমাদের একটি বিউটিফুল বেবি আছে, তার জন্য হলেও আমাদের আরও বেশি ভালো থাকা দরকার ছিল। কিন্তু সেন্সসেবল অ্যাক্ট করার থেকে অন্য কিছু বেশি করেছি। আমার ঘরের সব খবর নিউজ কাভার হচ্ছে। ভাইরাল এই ভিডিওটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। পরী আমার স্ত্রী। আর আমার বাচ্চার জন্য আমি আসলে কিছু বলতে চাই না। আমি আমার স্ত্রীকে সম্মান করি।

সবশেষ জয় বলেন, তাহলে তোমরা এমনভাবে মিলে যাও, যাতে ভবিষ্যতে ও আর তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট না হয়। এটাও তো তোমাদের দেখতে হবে। যেকোনো একদিকে ছাড় দিতে হবে।

রাহাত/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়