ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ইত্যাদির শুটিংয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ, যা বললেন উপস্থিত তারকারা

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ১০ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৫:২১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
ইত্যাদির শুটিংয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ, যা বললেন উপস্থিত তারকারা

ঠাকুরগাঁওয়ে ইত্যাদির শুটিংয়ের দৃশ্য

বাংলাদেশ টেলিভিশনের বহুল দর্শকপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসহ নানা বিষয়ই তুলে আনা হয় এই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানটি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন হানিফ সংকেত।

‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের রাজবাড়ীতে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু অনুষ্ঠাস্থলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর প্রকাশ করে একাধিক গণমাধ্যম।

আরো পড়ুন:

তবে এসব খবরকে ‘ভুয়া’ বলেছেন সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী। এবারের পর্বে এ শিল্পীর অংশগ্রহণ রয়েছে। গতকাল ঘটনাস্থলে ছিলেন তিনি। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই শিল্পী।

রবি চৌধুরী বলেন, “ইত্যাদির পুরো টিম আমাদের কিছু হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। ১০ হাজার লোকের জায়গায় ২ লাখ লোক হয়ে গেছে। আর্মি এবং পুলিশের সহযোগিতায় শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। চারিদিকে ভুয়া নিউজ। হায়রে ভিউ পাগল কিছু মিডিয়া। আবারো প্রমাণিত হলো, ইত্যাদির কোনো বিকল্প নেই। ইত্যাদি নাম্বার ওয়ান।”

ইত্যাদির নতুন পর্বে দেখা যাবে কণ্ঠশিল্পী সোনিয়া সুলতানা লিজাকে। এ গায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন,  “গতকাল খুব সুন্দরভাবে আমরা ‘ইত‍্যাদি’র নতুন একটি পর্ব ঠাকুরগাঁও-এ শেষ করলাম। ইত‍্যাদিকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করলাম।”

ভাঙচুর-মারামারির খবরকে ‘ভুয়া’ বলছেন লিজা। তার ভাষায়, “এ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অযথাই এসব ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত না করার অনুরোধ রইল সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের প্রতি।”

‘মীরাক্কেল’খ্যাত তারকা জামিল হোসেন গতকালকের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। সেই অভিজ্ঞতা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এ অভিনেতা বলেন, “ঠাকুরগাঁও আসছিলাম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির শুটিং করতে। বাংলার আনাচে-কানাচে ইত্যাদি এবং হানিফ সংকেতদা কতটা জনপ্রিয়, তা গতকালের শুটিং সময় নিজের চোখে দেখলাম।”

শুটিং বন্ধ রাখার কারণ ব্যাখ্যা করে জামিল হোসেন বলেন, “লোকের ধারণ ক্ষমতা ছিল ১০ হাজার, আসলো ২ থেকে ৩ লাখ মানুষ। মানুষের চাপের কারণে সাময়িক শুটিং বন্ধ করতে হয়, পরে আবার সব নরমাল হলে আমরা আমাদের কাজ খুব সুন্দর করে শেষ করি। কোনো হামলা, মারামারি— এমন কিছু হয়নি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়