ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাংলাদেশি মাঙ্গা নিয়ে কপিরাইট দ্বন্দ্ব, জয় পেলেন শান্তনা-শান্তুমা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২৬ মে ২০২৫   আপডেট: ১৮:০৯, ২৬ মে ২০২৫
বাংলাদেশি মাঙ্গা নিয়ে কপিরাইট দ্বন্দ্ব, জয় পেলেন শান্তনা-শান্তুমা

মাঙ্গা বা জাপানি কমিকস আর্টফর্ম বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক সমাদৃত ও পরিচিত। সারা বিশ্বে মাঙ্গার বাজার প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মাঙ্গা জাপানে শুরু হলেও বর্তমানে আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিজস্ব শিল্পী দ্বারা দেশীয় মাঙ্গা প্রস্তুত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালে শান্তনা-শান্তুমা শিল্পীযুগল প্রথম বাংলাদেশি মাঙ্গা প্রকাশ করেন। ২০১০ সাল থেকে মাঙ্গার চর্চা করছেন তারা।

২০১৮ সালে দেশীয় মাঙ্গা চর্চা ও প্রকাশের জন্য ‘মাঙ্গা স্টেজ’ নামে একটি প্রকাশনা চালু করেন। পাশাপাশি স্বনামধন্য বেশ কিছু পাবলিকেশনস তাদের অঙ্কিত মাঙ্গা নিয়মিত প্রকাশ করে আসছে।

২০২৩ সালে ফোরনেটশা বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ‘সোর্স’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করে। সেখানে তাদের প্রকাশিত মাঙ্গাগুলো দেশের প্রথম মাঙ্গা বলে দাবি করা হয়। ব্যাপারটি শান্তনা-শান্তুমার দৃষ্টিগোচর হলে শান্তনা-শান্তুমা বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ফলশ্রুতিতে, সোর্স তাদের অন্যায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং এ ধরনের দাবি ও প্রচার আর করবে না এই শর্তে একটি চুক্তিস্বাক্ষর করে।

২০২৪ সালে তারা পুনরায় নিজেদের বাংলাদেশি মাঙ্গার প্রণেতা দাবি করে বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করে। সোর্সের মাঙ্গা-ই বাংলাদেশের প্রথম মাঙ্গা এ রূপ মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করতে শুরু করে। এরই প্রতিক্রিয়ায় গত বছরের ২১ অক্টোবর শান্তনা-শান্তুমা পুনরায় বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে অভিযোগ করেন।

গত ২০ জানুয়ারি অভিযুক্ত ফোরনেটশা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম নাসির হোসেন নয়ন ও প্রমোটার হিশাম ইকবাল এবং অভিযোগকারী শান্তনা-শান্তুমার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

শুনানিতে উপস্থিত দুই পক্ষের বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে, শান্তনা-শান্তুমাই প্রথম স্বীকৃত বাংলাদেশি মাঙ্গা আর্টিস্ট। কিন্তু সোর্স অবৈধভাবে নিজেদের প্রথম দাবি করে আসছিল। পাশাপাশি প্রমাণিত হয়, সোর্স ও ফোরনেটশার কর্মকাণ্ড দ্বারা শান্তনা-শান্তুমা ভোগান্তি, অসম্মান, মানসিক চাপ ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এই শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল রায় হয়, কপিরাইট আইন ২০২৩-এর ১০ ধারার ক্ষমতাবলে সোর্স ও ফোরনেটশা মিথ্যা দাবিকৃত সব কনটেন্ট অবিলম্বে প্রচার মাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাধ্য থাকবে। প্রথম বাংলাদেশি মাঙ্গা আর্টিস্ট শান্তনা-শান্তুমা সোর্সের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইন ২০২৩-এর ৭৭, ৮৪, ১০৬ ও ১০৭ ধারায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা করতে পারবেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়