ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পরিত্যক্ত নারিকেলের খোলও ফেলনা নয়: আজমিরী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ৮ মার্চ ২০২১  
পরিত্যক্ত নারিকেলের খোলও ফেলনা নয়: আজমিরী

কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার আজমিরী খানম পরিত্যক্ত নারিকেলের খোল দিয়ে তৈরি পণ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

পরিত্যক্ত নারিকেলের খোল দিয়ে তিনি তৈরি করছেন ডালের ওড়ং, চায়ের কাপ, ফুলের টব, বাটি, চামচ, ল্যাম্প, শোপিস, পাখির বাসা, গলার মালা, হাতের আংটি, পয়সা জমানোর ব্যাংকসহ নানা ইউনিক পণ্য। 

যা দেখতে যেমন আকর্ষনীয় তেমনি পরিবেশ বান্ধবও। এগুলো ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিক্রি করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন আজমিরী। 

ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া নারিকেলের খোলও যে শিল্পের উপকরণ হতে পারে তিনি তার যথার্থ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি এসব পণ্যে নানা ডিজাইন এনে মনকাড়া রূপ দিয়েছেন। ফলে তৈরি করা এসব শোপিস শোভাবর্ধন করছে বিত্তবান সৌখিন মানুষদের বাসায়। আর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যবহার করছেন মধ্যবিত্তসহ সব শ্রেণির মানুষ। 

অনলাইনে ‘অদ্যন্তিকা’ নামের একটি পেজ খুলে পোস্ট করতে থাকেন তৈরিকৃত বিভিন্ন পণ্যের ছবি।  সেখান থেকেই বিক্রি হয় তার পণ্য। 

আজমিরী খানম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজ্যম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৬ এইচএসসি পাস করেন। বাবা কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমান একজন সফল ব্যবসায়ী।

আজমিরী খানম জানান, লকডাউনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। তাই বাড়িতে বসে না থেকে নিজে কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন বাড়িতে তার সঙ্গে এসব পণ্য তৈরিতে আরো ৫ জন নারী কর্মী সহযোগিতা করছেন।

তিনি জানান, করোনার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন। উৎপাদিত এসব পণ্য ভিন্নধর্মী হওয়ায় অনেক সাড়া পাচ্ছেন। সারাদেশেই কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করি এই সকল পন্য।

তিনি জানান, পরিত্যক্ত নারিকেলের খোলও যে ফেলনা নয়, তিনি তা প্রমাণ করেছেন। এই শিল্পের মাধ্যমে তিনি অন্তত শতাধিক নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চান।

কাঞ্চন কুমার/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়