ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

খেজুরের দাম ঊর্ধ্বমুখী : প্রয়োজন বাজার মনিটরিং

আহমদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০১, ৭ জুন ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খেজুরের দাম ঊর্ধ্বমুখী : প্রয়োজন বাজার মনিটরিং

নিজস্ব প্রতিবেদক : বছর জুড়ে খেজুরের চাহিদা থাকলেও রমজানে এর প্রয়োজনীয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বাজারে এর বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে  বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।

 

ক্রেতাদের অভিযোগ, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি খেজুরের দাম নিচ্ছেন ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বেশি।

 

অনেকে আবার অভিযোগ করছেন, সুপার শপে খেজুরের দামের চেয়ে খোলা বাজারে খেজুরের মূল্য অনেকটা বেশি। এ জন্য রমজানে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান ক্রেতারা।

 

তবে বিক্রেতারা বলছেন, খেজুরের ধরন, মান ও জাত বিবেচনা করেই ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ভালো খেজুরের বেশি দাম, অপেক্ষাকৃত নিম্নমানের খেজুরের দাম কম নেওয়া হচ্ছে।

 

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, মতিঝিল, পল্টন, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, ধানমন্ডি, শংকর, মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি মরিয়ম খেজুর ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, তিউনিসিয়া ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সাফারি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, বরই খেজুর ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, সাধারণ খেজুর ৯০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

ধানমণ্ডি এলাকায় সাধারণ খেজুর ১০০ টাকা কেজি কিনেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জিহাদ সরকার।

 

তিনি বলেন, রমজান মাস এলেই খেজুরের দাম বেড়ে যায়। বিক্রেতারা এই এক মাসকে কেন্দ্র করে বেশি মুনাফা পেতে চান। এদিকে বিপাকে পড়তে হয় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের।

 

তিনি বলেন, যেখানে সুপার শপগুলোতে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি থাকার কথা, সেখানে দাম কম। অথচ বাহিরে যেকোনো দোকান থেকে খেজুর বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলেও সেরকম কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছে মতো দামে খেজুর বিক্রি করছেন।

 

সাইফুল ইসলাম মাসুম নামে এক ক্রেতা বলেন, ক্রেতারা খেজুরের সব জাত সম্পর্কে পরিচিত না। এ সুযোগে বিক্রেতারা ভালো খেজুর বলে বেশি দামে যেকোনো একটি ধরিয়ে দিচ্ছেন। ইচ্ছে মতো দামও আদায় করছেন।

 

এদিকে খেজুরের দাম বেশির কারণ হিসেবে এক শ্রেণির অসাধু পাইকারি ব্যবসায়ীদের দায়ি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

 

বায়তুল মোকাররমের সামনের ফল ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, যারা পাইকারি খেজুর বিক্রি করে তাদের দামের ওপর নির্ভর করে আমাদের বিক্রির দাম। আমরা যখন বেশি দামে খেজুর কিনে নিয়ে আসি তখন একটু বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

 

একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী মাজেদুল হক বেশি দামে খেজুর বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাজারে অন্যান্য পণ্যের দামের তুলনায় খেজুরের দাম কমই আছে। আমরা চেষ্টা করছি কম মুনায়ায় ক্রেতাদের কাছে খেজুর বিক্রি করতে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুন ২০১৬/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়