ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১২, ৩ জুন ২০২৫   আপডেট: ১৪:২৩, ৩ জুন ২০২৫
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি গায়ানা, যা বললেন রাষ্ট্রদূত

জাতিসংঘে নিযুক্ত গায়ানার রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন রডরিগেস-বারকেট

জুন মাসের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে গায়ানা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি সোমবার (২ জুন) গ্রিসের কাছ থেকে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর। 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫ সদস্যদেশ প্রতি মাসে পালাক্রমে সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গায়ানা জুন মাসের জন্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। 

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘে নিযুক্ত গায়ানার রাষ্ট্রদূত ক্যারোলিন রডরিগেস-বারকেট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দেশটি বিশ্বে চলমান সশস্ত্র সংঘাতে শিশুদের সুরক্ষা, সংঘাত প্রতিরোধের পাশাপাশি শান্তি ও নিরাপত্তার উপর জোর দেবে।

রডরিগেস-বারকেট বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদ ১৯ জুন দারিদ্র্য, অনুন্নয়ন এবং সংঘাতের উপর একটি উচ্চ-স্তরের উন্মুক্ত বিতর্ক আয়োজন করবে। জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের ব্রিফারদের অংশগ্রহণে বৈঠকে গায়ানার প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ ইরফান আলী সভাপতিত্ব করবেন। এর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার মধ্যে সম্পর্ক পূর্ববর্তী আলোচনার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।”

তিনি আরো বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য বৈঠকে সিরিয়া, ইরাক, মধ্য আফ্রিকা, সুদান, লিবিয়া এবং ইয়েমেন ইস্যুতে জোর দেওয়া হবে, পাশাপাশি সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ও পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের মতো প্রধান বিষয়গুলোতেও আলোকপাত করা হবে।”

নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণের সমর্থনে গায়ানার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদে আসার অনেক আগেই আমরা ফিলিস্তিনের ইস্যুতে সোচ্চার ছিলাম।”

রড্রিগেজ-বারকেট আরো বলেন, “আপনারা জানেন, গায়ানা ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার অনুশীলন কমিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, তাই এর পক্ষে আমাদের সমর্থন আমাদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যে- দখলদারিত্ব ভুল, উপনিবেশ স্থাপন ভুল এবং ফিলিস্তিনের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অবশ্যই প্রয়োগ করা উচিত এবং এটিই আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এনেছি।” 

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আসন্ন সম্মেলনের বিষয়ে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যদি একটি জাতির মাতৃভূমি না থাকে তাহলে কোনো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকতে পারে না এবং সহিংসতার এই চক্র চলতেই থাকবে।”

“তাই আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি যে, এই সম্মেলনটি কেবল আরেকটি সম্মেলন হওয়া উচিত নয় এবং আমরা আশাবাদী যে, এর এমন ফলাফল আসবে যা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে এগিয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, জুলাই মাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব গায়ানা থেকে পাকিস্তানের কাছে যাবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়