ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৪ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

জাতিসংঘে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার শিকার হওয়ার দাবি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৩:৪৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার শিকার হওয়ার দাবি ট্রাম্পের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, তাকে হেনস্তা করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। খবর এবিসি নিউজের।

ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট করেছেন। 

আরো পড়ুন:

পোস্টে তিনি লিখেন, “মঙ্গলবার জাতিসংঘে যা ঘটেছে, তা খুবই লজ্জার। একটি বা দুটি ঘটনা নয়, তিন তিনটি খারাপ ঘটনা ঘটেছে। প্রথমত, যে এসকেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) ব্যবহার করে মূল তলায় যাচ্ছিলাম, তা একটা বিকট শব্দ করে হঠাৎ থেমে যায়। ভাগ্য ভালো যে, আমি আর মেলানিয়া ওই স্টিলের সিঁড়ির ধারালো কোণায় পড়ে যাইনি। আমরা দুজনেই হ্যান্ডরেলটা শক্ত করে ধরেছিলাম, অন্যথায় ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারত। এটা পরিষ্কার অন্তর্ঘাত ছিল, কারণ এর আগের দিনই দ্য লন্ডন টাইমস-এর একটি পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, জাতিসংঘের কর্মীরা এসকেলেটর বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে মজা করছিল। যারা এটা করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত।”

ট্রাম্প আরো যোগ করেন, “এরপরে জাতিসংঘের মঞ্চে বক্তব্যের জন্য আমি যখন দাঁড়িয়ে, আমার টেলিপ্রম্পটার কাজ করা বন্ধ করে দিল। বাহ, কী দারুন জায়গায় গেলাম। প্রথমে এসকেলেটর বন্ধ, তারপরেই টেলিপ্রম্পটার বন্ধ। তৃতীয়ত, টেলিপ্রম্পটার ছাড়াই ১৫ মিনিট দারুণ ভাষণ দেওয়ার পরে জানতে পারলাম অডিটরিয়ামের সাউন্ড বন্ধ। মেলানিয়াকে যখন বললাম, কেমন হলো ভাষণ? ও বলল, তুমি কী বললে, সেটা আমি শুনতেই পাইনি। এটা কাকতালীয় হতেই পারে না।”

ট্রাম্প জানান, এটা স্পষ্ট ‘অন্তর্ঘাত’। জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। দ্রুত এর তদন্তের দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিকে, ট্রাম্পের এই অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ভিন্ন কথা বলেছেন। তারা জানান যে, এসকেলেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে সম্ভবত ট্রাম্পের নিজস্ব ফটোগ্রাফার জড়িত ছিলেন। তিনি হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে এসকেলেটরের উপরের দিকে থাকা থামানোর বোতামটি প্রেস করেছিলেন।

টেলিপ্রম্পটারটি হোয়াইট হাউজ সরবরাহ এবং নিয়ন্ত্রণ করছিল, তাই এ ব্যাপারে তাদের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতিসংঘের কর্মকর্তা জানান যে, সাউন্ড সিস্টেমটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে শ্রোতারা তাদের আসনে বসে ইয়ারপিসের মাধ্যমে ছয়টি ভিন্ন ভাষায় ভাষণ শুনতে পান। তিনি ট্রাম্পের দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়