ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের ৩টি ধারা কেন অবৈধ নয়

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২৪ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের ৩টি ধারা কেন অবৈধ নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ সালের তিনটি (২গ, ৩ ও ৬) ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ওই আইনে বিধি প্রণয়নের বিধান থাকার পরও তা না করায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ  ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ২ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনের  পক্ষে  আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, ব্যারিস্টার রেশাদ ইমাম, ব্যারিস্টার আরেফিন আশরাফ, ব্যারিস্টার জারিফ মোহাম্মদ জুবায়ের, ব্যারিস্টার তাসনিম ফেরদৌস ও ব্যারিস্টার নারিদা নাবিন খান।

ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম জানান, আমাদের আইনে দাতা হিসেবে নিকটাত্মীয়দের কথা বলা আছে। আর নিকটাত্মীয় বলতে পিতা-মাতা, ভাই-বোন, চাচা, ফুফু, মামা ও স্বামী-স্ত্রীকে বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতে এবিষয়ক আইনে নিকটাত্মীয়ের সংজ্ঞায় ওই কয়েকজন ছাড়াও নানা-নানী, দাদা-দাদি, খালাতো, মামাতো, চাচাতো ভাই-বোনের কথা বলা আছে। এ ছাড়া ভারতের আইনে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিকটাত্মীয় ছাড়াও অন্যরা দাতা হতে পারবে। এক্ষেত্রে ওই আইনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে কারা বিশেষ পরিস্থিতিতে দাতা হতে পারবে। আমাদের আইনে দাতাকে ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বয়সের ব্যক্তি হতে হবে। মেডিক্যাল বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। কিন্তু আমাদের আইনে এর পরিধি সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া ১৯৯৯ সালের আইনে এ বিষয়ে বিধি করার কথা বলা আছে। কিন্তু আজও বিধি করা হয়নি। এসব কারণে রিট আবেদন করা হয়।  রিটের শুনানি নিয়ে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেছেন।

ফাতেমা জোহরা নামে এক নারী গতকাল এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ আগস্ট ২০১৭/মেহেদী/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়