স্বামী-স্ত্রীর কূটকৌশলে ব্যাংকে নেই ৫ কোটি টাকা!
অভিনব কৌশলে স্বাক্ষর জাল করে এক গ্রাহকের হিসাব থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের এক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী।
মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেন্টার ম্যানেজার জাহিদ সারোয়ার এবং তার স্ত্রী ফারহানা হাবিব মিলেমিশে এমন অপকর্ম করেছেন।
যে অভিযোগে মঙ্গলবার তাদেরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. শফিউল্লাহ্ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত জাহিদ সারোয়ার বর্তমানে অবসরে আছেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ অক্টোবরের মধ্যে ওই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদ সারোয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে গ্রাহক ফেরদৌসী জামানের মিউচ্যুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংকের বনানী শাখার হিসাব নম্বরের (০০৩৪-০৪৩০০০২৬৫০) অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষর জাল করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কথা বলে ব্যাংক হিসাবের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন। এরপর হিসাবধারী ফেরদৌসী জামানের নামে ৪টি চেক বই ইস্যু করে ওই কর্মকর্তা। যার একটি গ্রাহক ফেরদৌসী জামানকে দিলেও তিনটি চেক বই নিজের কাছে রাখেন। উক্ত তিনটি চেক বইয়ের ৬০টি চেকের পাতায় হিসাবধারী ফেরদৌসী জামানের এবং ১৬টি চেকে গ্রাহকের বেয়ারার মো. ইশতিয়াক হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষর জাল করে চার কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। এর মধ্যে দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্র্যাক ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখায় তার স্ত্রী ফারহানা হাবিবের মালিকানাধীন আশা ক্রিয়েশনের নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরে (১৫২১২০২৬৫১৩৯৬০০১) জমা করেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
দুদক সূত্র আরো জানায়, ফারহানা হাবিব তার স্বামী জাহিদ সারোয়ারের অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা তার মালিকানাধীন আশা ক্রিয়েশন নামীয় হিসাবে জমা দেয়ার সহযোগিতা করেছেন।
এজন্য স্বামী-স্ত্রী উভয়কে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা/এম এ রহমান/সাজেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন