ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা: ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৭, ২৩ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৪:২৯, ২৩ মার্চ ২০২১
শেখ হাসিনার সমাবেশে বোমা: ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি

প্রায় ২১ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একটি ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে প্রকাশ্যে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ মোতাবেক তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে কর্তৃপক্ষের কোনো অসুবিধা থাকলে প্রচলিত নিয়মানুসারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। 

গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন ২৩ মার্চ। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আনিসুল ইসলাম ওরফে আনিস, সরোয়ার হোসেন মিয়া, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজ, মাহমুদ আজাহার ওরফে মামুনুর রশিদ ওরফে মাহমুদ, রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমুল খান ওরফে রাশেদ খাঁ, তারেক হোসেন ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, আ. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান ওরফে হাসান ওরফে মেহেদী হাসান, মাওলানা আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সি ওরফে দেনত আলী মুন্সি, মাওলানা রফিকুল, মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে মোছহাব মোড়ল ওরফে আবু মোছা হারুন, মোছাহেব হাসান ওরফে রাশু এবং শেখ মো. এনামুল হক। আসামিদের মধ্যে প্রথম ৯ জন কারাগারে আছেন। রায় ঘোষণার আগে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। পরের ৫ জন পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এদিকে, রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা। উচ্চ আদালতে এ রায় বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা বলছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।

এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এরপর ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর সিআইডির সাবেক এএসপি আব্দুল কাহার আকন্দ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। 

ঢাকা/মামুন/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ