আদালতকে নূরুল ইসলাম
চিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন, বিচার যা হওয়ার হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আদালতকে বলেছেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। অনেকটা জোর করে রিলিজ দিয়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন। বিচার যা হওয়ার হবে।’
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালতে ইমরান হাসান নামে এক শিক্ষার্থী গুলিতে নিহতের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম মিয়া তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
নূরুল ইসলামের পক্ষে ফজলুল হক বাবু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে বলেন, তিনি আমার আপন মামা। একজন আইনজীবীও। রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ। রাজনীতি করেছেন মানুষের সেবার জন্য, দুর্নীতির জন্য না। ২০১৯ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের কোনও অভিযোগ নেই। রেলের উন্নতি করেছে। এতে রেলে যাত্রীদের যাত্রার আগ্রহ বেড়েছে। তিনি ৬ নং আসামি। ইতোমধ্যে তিন জন আগাম জামিন পেয়েছেন। তার বিষয়ে শুনানির আবেদন করেছি। শুনানির জন্য আজকে আছে। এর মাঝে তাকে হাসপাতাল থেকে জোর করে রিলিজ করিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ আইনজীবী বলেন, ঘটনা ৫ আগস্ট সকাল ৯টার। আর মামলা ১ সেপ্টেম্বরের। ঘটনার ২৬ দিন পর মামলা। এজাহারে ডিলের কোনও কারণ নেই। বুঝায় যাচ্ছে, রাজনৈতির প্রতিহিংসার মামলা। হয়তো তিনি তখন বাসায় ছিলেন, এমনকি ঘুমিয়েও থাকতে পারের। বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ। চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। রিমান্ডে নেওয়ার কোনও গ্রাউন্ডও নেই। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।
এরপর কথা বলেন নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার এলাকা পঞ্চগড়ে আমার বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। সারাজীবনে এ মামলা ছাড়া আর কোনও মামলা নেই। আমার দল ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটা মামলা দেয়নি। ৩ আগস্ট পর্যন্ত আমি এলাকায় থেকে বাচ্চাদের সাইকেল বিতরণ করি। ৪ তারিখ সন্ধ্যায় সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট দিয়ে ঢাকায় আসি।
নূরুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় নাম উল্লেখ ছাড়া আসামিদের কার কী ভূমিকা, কিছু উল্লেখ করেনি। দেখবেন বাদী কাউকে চিনে না। বলতেও পারবে না আসামি কারা। আমাদের মত আইনজীবীরাই আসামিদের নাম লিখে দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। অনেকটা জোর করে রিলিজ, দিয়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন। বিচার যাওয়ার হবে।
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৮৩৩ নম্বর রুম থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ