আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন জাহাঙ্গীর আলম
আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাইলেন নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলায় আবদুল মোতালিব নামে এক কিশোর নিহতের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে তিনি ন্যায়বিচার চান।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলার তদন্তকালে এ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ আসামির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, এ আসামি ফ্যাসিস্টের সহযোগী। স্বরাষ্ট্র সচিব থাকাকালে বদলি বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। ছাত্র আন্দোলন দমাতে কী করতে হবে, স্বরাষ্ট্র সচিবের ওখানে কয়েকটা মিটিং হয়। আন্দোলন দমাতে তার নির্দেশনা ছিল। বসে বসে ষড়যন্ত্র করেছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। তাদের বিপথে ব্যবহারে লেলিয়ে দিয়েছে। আন্দোলন দমাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের ওপর গুলি চালানো হয়। তাদের একটু বুকও কাঁপলো না। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। দেশে যেন আর কোনও স্বৈরাচার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, তার হার্টের সমস্যা। কিছুদিন আগে রিং পরানো হয়। সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শে চলতে হয়। তিনি সরকারি কর্মকর্তা। সরকারি আদেশ পালন করতে হয়। মাত্র দুই মাস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দিয়েছেন। প্রায় রিটায়ার্ডের পর্যায়ে চলে এসেছে। রিমান্ড নামঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
এরপর আদালত জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য শুনতে চান। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাচ্ছি। আমাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি অসুস্থ।
পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে, গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ