ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সুস্থ থাকতে ইফতারে করণীয় ও বর্জনীয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১২, ২২ মার্চ ২০২৩   আপডেট: ২২:১৮, ২২ মার্চ ২০২৩
সুস্থ থাকতে ইফতারে করণীয় ও বর্জনীয়

পবিত্র রমজান মাস চলে এসেছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। সিয়াম-সাধনার এই মাসে ইবাদত-বন্দেগীর ফজিলত তুলনামূলক বেশি। কিন্তু আপনি চাইলেই কাঙ্ক্ষিত ইবাদত করতে পারবেন না, যদি শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকেন।

এমনকি রমজানের শুরু থেকে জীবনযাপনে সচেতন না হলে ভালো স্বাস্থ্যও খারাপের দিকে যেতে পারে। জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো, আমরা যা খাই। ইফতারে যেমন তেমন খাবার খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি আছে, যা দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি ইবাদতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং ইফতারে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সচেতন থাকুন।

করণীয়

* ইফতারে পানীয় হিসেবে ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেক্ট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে ও কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে।

* এছাড়াও যেকোনো ধরনের মিষ্টি ফল যেমন: খেজুর, তরমুজ, কলা প্রভৃতি গ্রহণ করা যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে।

* পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে (সিদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজি খিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি)।

* ইফতারে আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য ডিম বা ডিমের তৈরি খাবার গ্রহণ করা যেতে পারে।

* ইফতারে খাবার খেতে হবে ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে যা খাবার সহজে হজমে সহায়ক হবে।

* দেহের পানির চাহিদা পূরণে ইফতার এবং সেহরির মাঝের সময়ে ২.৫ - ৩ লিটার বা ৬ থেকে ১৮ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করতে হবে। রোজায় পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাথাব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও সহায়ক হবে।

বর্জনীয়

* বেশি মসলা এবং কৃত্রিম রংযুক্ত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চললে ইফতার পরবর্তী বদহজম, অস্বস্তি ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

* ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা, পোড়া বা গ্রিল করা খাবার যেমন মাংসের ফ্রাই, গ্রিল বা শিক কাবাব ইত্যাদি পরিহার করা প্রয়োজন। এসব খাবারে তৈরি হওয়া ট্রান্সফ্যাট হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

* অতিরিক্ত লবণ ও চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় যেমন: চিপস, জিলাপি, কার্বোনেটেড সফট ড্রিংকস, সিঙারা, সামুচা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কেক-পেস্ট্রি, পিৎজা-বার্গার সহ যাবতীয় জাংক ফুড এড়িয়ে চলা ভালো। 

তথ্যসূত্র: বারটান

পড়ুন: সুস্থ থাকতে সেহরিতে করণীয় ও বর্জনীয়

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়