ঢাকা     সোমবার   ০৬ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

হোটেলের ‘স্টার’ মান যেভাবে নির্ধারণ করা হয়

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
হোটেলের ‘স্টার’ মান যেভাবে নির্ধারণ করা হয়

ভ্রমণে কিংবা অন্যত্র রাত্রিযাপনের জন্য সারাবিশ্বে হোটেলের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। ভ্রমণে যাওয়ার আগে তাই সবাই হোটেলের সুযোগ-সুবিধার খোঁজ নিয়ে থাকেন। অনেকেই থাকে ৫ তারকা হোটেলে, কেউ আবার ৪ তারকা বা ৩ তারকা হোটেলে। হোটেলের এসব তারকা মান কীভাবে নির্ধারণ করা হয়? কী কী সুবিধা থাকে কোন কোন তারকা হোটেলে।

আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, হোটেলের মান নির্ধারণের বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। এক একেকটি দেশ একেকভাবে তাদের হোটেলগুলোর মান নির্ধারণ করে থাকে। এসব অফিসিয়াল বা নন অফিসিয়াল হতে পারে।

সর্বপ্রথম ১৯৫০ সালে ফোর্বস ট্রাভেল গাইডস ‘হোটেল স্টার’ সিস্টেম পদ্ধতি চালু করে। এখনো আমেরিকায় ট্রিপল এ এবং ফোর্বস এই স্টার সিস্টেমের জন্য বিশ্বাসযোগ্য। বর্তমানে হোটেলগুলোর রেটিং দেখা খুবই সহজলভ্য। ওয়েবসাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রিভিউয়ের মাধ্যমে হোটেলের মান সম্পর্কে জানা যায়।

এক দেশের পাঁচ তারকা হোটেল অন্য দেশের চার তারকা হোটেলের মানের সুবিধা দিতে পারে অর্থাৎ দেশে দেশে স্টারের সঙ্গে সুযোগ-সুবিধার পার্থক্য রয়েছে। দুবাইয়ের কোনো চার তারকা হোটেল বাংলাদেশের পাঁচ তারকা হোটেলের চেয়ে বিলাসবহুল। কিভাবে নির্ধারণ করা হয় এসব মান। আসুন জেনে নেই।

* ওয়ান স্টার হোটেল: এক তারকা মানের হোটেল খুবই সাধারণ হোটেল। যেখানে থাকার ব্যবস্থা খুবই সাধারণ এবং দামও কম। অল্প খরচেই এক তারকা মানের হোটেলে থাকতে পারেন যে কেউ। এক তারকা মানের হোটেলে ছোট রুমে বিছানার সঙ্গে থাকতে পারে টেবিল। সার্বক্ষণিক ক্লিনার বা ম্যানেজমেন্ট সেবা সেখানে মিলবে না।

* টু স্টার হোটেল: দুই তারকা মানের হোটেল এক তারকা হোটেলের মানের চেয়ে একধাপ এগিয়ে। এখানে থাকতে মোটামুটি মানের টাকা খরচ করতে হয়। সুন্দর বাথরুম, বেলকনিসহ নানা সুবিধা মেলে এই মানের হোটেলে। টিভি সুবিধা থাকলেও সেসব হবে খুবই পুরনো, কখনো পেয়ে যেতে পারেন টেলিফোন সুবিধা। এসব হোটেল সার্বক্ষণিকই খোলা থাকে।

* থ্রি স্টার হোটেল: তিন তারকা মানের হোটেল মোটামুটি উন্নত। রুমগুলো বেশ বড় হয়, উন্নত বাথরুমসহ এসি ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকে। থাকে টেলিভিশনসহ পার্কিং সুবিধা। ম্যানেজমেন্ট ও রুম সার্ভিস সার্বক্ষণিক এই মানের হোটেলে থাকে।

* ফোর স্টার হোটেল: চার তারকা মানের হোটেলের রুম বড় হয়। রুমে গিয়েই দেখবেন সব সাজানো। কাপড় রাখার জন্য আলমারি পাবেন। গোসলের সাবান ও শ্যাম্পু। এসি সুবিধার পাশাপাশি প্রতি রুমে থাকে ফ্রিজের ব্যবস্থা। স্যুট রুমসহ বাথটাবের সুবিধাও মেলে এই মানের হোটেলে। অতিথিদের জন্য থাকে মিনি কফি বার, জুস কর্নার ইত্যাদি। রুম সার্ভিস সেবা থাকে উন্নতমানের। থাকার জন্য এই ধরনের হোটেল খুবই চলনসই।

* ফাইভ স্টার হোটেল: পাঁচ তারকা মানের হোটেল বেশ উন্নত। চার তারকা মানের হোটেলের সুযোগ-সুবিধা (এসি, স্যুট রুম, বাথটাব, ফ্রিজ, মিনিবার) সহ এখানে মিলবে জিমনেসিয়াম এবং সুইমিং পুলের সুবিধা। সার্বক্ষণিক মিলবে হোটেলের টেলিফোনে ও রুম সার্ভিস। এসব হোটেলে থাকার খরচাও একটু বেশি। বাহারি খাবার ও ব্যুফে সুবিধাও মেলে পাঁচ তারকা হোটেলে।

* সেভেন স্টার হোটেল: সাত তারকা মানের হোটেল বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত মানের হোটেল। তবে এর নিজস্ব কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। অন্য সব হোটেলের চেয়ে বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে এই হোটেল। এখানকার রুম ভাড়া ও খাবারের খরচ বেশ ব্যয়বহুল। 

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়