ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সহায়তা নয়, ইউরোপ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব চায় সরকার

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:২৭, ১৬ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সহায়তা নয়, ইউরোপ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব চায় সরকার

সচিবালয় প্রতিবেদক : মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আগে বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পকোন্নয়ন করতে চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ইউরোপ সফরে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের যে সহায়তাভিত্তিক সর্ম্পক ছিল তা অংশীদারিত্ব সম্পর্কে রূপ দিতে চায় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে এ বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে এনভয় কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ইউরোপভিত্তিক ১৫ জন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতকে ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও অগ্রাধিকার নিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইউরোপের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে ওই মহাদেশে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করবেন। ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরিকল্পনা দেবেন রাষ্ট্রদূতরা। আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক কূটনীতি ও রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

কনফারেন্সে যোগ দিতে আগামী ১৯ জুলাই ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে লন্ডনে এনভয় কনফারেন্স করবেন।

সূত্র জানায়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতি কী হবে, বাণিজ্য এবং অভিবাসননীতি কী হবে, সে বিষয়ে এনভয় সম্মেলনে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ-ইউরোপ সম্পর্কে বৈশ্বিক পরিস্থিতি কী প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের কথা শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে প্রত্যেক রাষ্ট্রদূত পাঁচ মিনিট করে তাদের প্রেজেন্টেশন দেবেন। পরে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব হবে। ব্রেক্সিটসহ ইউরোপে পরিবর্তিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কী অবস্থান নেবে, সে বিষয়েও রাষ্ট্রদূতরা কথা বলবেন। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপনের বিষয়েও রাষ্ট্রদূতরা তাদের পরিকল্পনা জানাবেন।

মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক অঞ্চল ইউরোপ। এছাড়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশেও প্রচুর বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ। এবার বিনিয়োগের এই বিষয়টিকে অংশীদারিত্ব সর্ম্পকে উন্নীত করতে চায় বাংলাদেশ। তাই প্রধানমন্ত্রীর এই সফরটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এনভয় কনফারেন্স করবেন তিনি। এরপর ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে অংশ নিতে ভারত সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জুলাই ২০১৯/হাসান/লাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়