ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১১, ২৭ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় সহিংসতার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও মহলকে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ কমিশনের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'রংপুরের ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের ঘটনার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন' উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইজীবি সমিতি (বেলা), নিজেরা করি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সর্বশেষ রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া ও সদর উপজেলা ঠাকুরপাড়ায় সহিংসতা চালানো হয়। অতীতের মতো এখনেও হিন্দু সম্প্রদায়ের তথাকথিত একজন ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম অবমাননা করেছে এই অভিযোগ তুলে ঠাকুরপাড়ার গ্রামের প্রায় ১৫টি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।

তারা আরো বলেন, রংপুর শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটির দূরে ঠাকুরপাড়ার অধিবাসী টিটু রায় ফেসবুক একাউন্ট থেকে কথিত স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে  আক্রমণ করা হয়। সেখানে প্রায় ১৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ও লুটপাট চালনো হয়। ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু তখন এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

এ সময় আয়োজকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে-রংপুরের গঙ্গাচরার ঘটনাসহ এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শেষ করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা, মিথ্যা অভিযোগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শারিরীক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া, রংপুরের ঘটনাসহ এ ধরনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ সব পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কথা বলে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে পাবনা সাঁথিয়া, কক্সবাজারের রামু, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগর সব ক্ষেত্রেই একই ধরনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সরকারকে জনবিচ্ছিন্ন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে কি না তদন্ত করে দেখা উচিত। বারবার এমন ঘটনা গোটা জাতির জন্যই লজ্জাজনক।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশি কবির, বেলার প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজিওয়ানা হাসান, এএলআরডি শামসুল হুদা, অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রতিরোধ আন্দোলনের সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ নভেম্বর ২০১৭/সাওন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়