ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা প্রকল্প চালু করলো ইউনিসেফ-ইইউ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২০  
বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা প্রকল্প চালু করলো ইউনিসেফ-ইইউ

বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে ইউনিসেফ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশে ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মসূচিকে সহায়তার লক্ষ্যে আগামী চার বছরে ২ কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইইউ।

এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সামাজিক পরিষেবা নেওয়ার সুযোগ পাবে ১ কোটির বেশি শিশু। এটি নিজের অধিকার দাবি করার ক্ষেত্রে শিশুদের সক্ষম করে তুলবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরী এবং শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি টোমো হোযুমি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শিশুর অধিকার বাস্তবায়নে এ বিনিয়োগ নজিরবিহীন। কোভিড-১৯ মহামারিতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন সংকটময় সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। শিশুদের প্রয়োজনগুলোই সবচেয়ে বড়। গুরুত্বপূর্ণ সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা যাতে সমান সুযোগ-সুবিধা পায়, তা নিশ্চিত করতে এই সহায়তা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ প্রান্তিক শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা ও কর্মসূচি তৈরি করেছে। একই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যও আছে; বিশেষ করে, শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে বেঁচে থাকা শিশুদের জন্য। এই দেশে শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা বা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। তারা বাড়িতে এবং তাদের কমিউনিটিতে নানা অসুবিধা ও বঞ্চনার শিকার হয়।

বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধিদলের হেড অব কোঅপারেশন মরিজিও সিয়ান বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ব্যাপকতা লাভ করা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পরিবারগুলো যখন সংগ্রাম করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে এবং ভবিষ্যতে তাদের সমাজে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাজাল তৈরির জন্য আমাদের এখন অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে।’

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ২০১১ সালে প্রকাশিত বৈশ্বিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ডব্লিউএইচও ও বিশ্বব্যাংকের এক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ বা ১০০ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধিতার শিকার। শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই বসবাস উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।

এ উদ্যোগ শারীরিকভাবে অক্ষম এবং দুর্গম, দুর্যোগপ্রবণ ও সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের শিশু এবং রাস্তায় বসবাসকারীসহ শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সহায়তায় সুরক্ষা ব্যবস্থা, নীতিমালা ও আইন জোরদার করবে। প্রান্তিক শিশুদের জন্য মৌলিক সামাজিক পরিষেবা জোরদার করতে ইউনিসেফ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। একই সঙ্গে, ক্ষতিকর সামাজিক রীতি-নীতি এবং বৈষম্যমূলক আচরণ চ্যালেঞ্জ করার দক্ষতাসম্পন্ন করে সুবিধাবঞ্চিত শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের নিজ কমিউনিটিতে পরিবর্তনের দূত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়