ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যানবাহন সংকটে ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১৪ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ০৬:৫৩, ১৫ এপ্রিল ২০২১
যানবাহন সংকটে ভোগান্তিতে রোগী-স্বজনরা

সারাদেশে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। এর ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে স্বজনরা বাসা-বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া যেমন করতে পারছেন না, তেমনি জরুরি প্রয়োজনে রোগীর সঙ্গে দেখা করতেও যেতে পারছেন না। রোগীকে নিতে পারছেন না  এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বিকল্প পথ খোলা রাখার পরামর্শ দেন রোগীর স্বজনরা।  

বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও, রাজারবাগ, মালিবাগ, মগবাজার ও বাংলামোটর এলাকায় দেখা গেছে, সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর। ফলে, সড়কে সীমিত পরিসরে রিকশা চলছে।  এসব এলাকায় অন‌্য কোনো বাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।  

এদিকে, খিদমা হাসপাতাল, রাশমোনো হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং ইনসাফ বারাকাহ কিডনি ও জেনারেল হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের ভিড় দেখা গেছে।

তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লকডাউনে সাধারণ রোগীরা আসছেন না। জরুরি প্রয়োজনে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন।

দুপুরে মগবাজার ইক্সটন রোডে সিএনজির জন‌্য অপেক্ষায় করছিলেন রোগীর স্বজন ফারহান রাজ্জাক। রাইজিংবিডিকে তিনি  বলেন, ‘লকডাউনের কারণে যান চলাচল করছে না। মা-কে ডায়ালাইসি করাতে ধানমন্ডির একটি হাসতাপাতালে যেতে হবে। কিন্তু কোনো সিএনজি পাচ্ছি না। যে দুই-একটি রিকশা চলছে, তারাও যেতে চায় না।’

রাজধানীর মগবাজারে আদ-দ্বীন হাসপাতালে আসা আমেনা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘লকডাউনে যানবাহন চলছে না। ফলে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে আদ-দ্বীন হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী নিয়ে এসেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদ-দ্বীন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিশুক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আগের চেয়ে অনেক রোগী কমে গেছে। তবে যেসব রোগীর ডাক্তার দেখানো জরুরি, কেবল তারাই আসছেন। বিশেষ করে ডেলিভারি কেসের রোগীরা বেশি আসছেন। এর মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়েও অনেক রোগী হাসপাতালে উপস্থিত হচ্ছেন।’

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক‌্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাসুদ আক্তার জিতু বলেন, ‘লকডাউনে রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে, এ পরিস্থিতিতেও রোগী আসছে।’

ঢাকা/এনটি/এনই/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়