ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ২৭ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৮:৪৫, ২৭ জুলাই ২০২১
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক: প্রধানমন্ত্রী

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের শাসক নয় সেবক হিসেবে কাজ করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,ভালো কাজের জন্য যেমন তাদের পুরস্কৃত করা হবে, তেমনি মন্দকাজের জন্যও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

দেশের বয়স্ক নাগরিকদের কেউ যাতে টিকাদান থেকে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে এ সময় নির্দেশ দেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উদযাপন এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০২০ ও ২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।  তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন।

সরকার প্রধান বলেন, আমি সরকারি কর্মচারীদের বলবো জনগণের সেবা করাই সবচেয়ে বড় কাজ। আপনারা অনেকেই চমৎকার উদ্ভাবনী কাজ করেছেন যা দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগছে এবং আপনাদের কাজ গুলোর সুফল আগামী প্রজন্ম ভোগ করবে। এভাবেই বাংলাদেশকে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সরকারি কর্মচারীরা যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন তাদের এলাকাভিত্তিক উন্নয়নে অবদান রাখারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তৃণমূল থেকে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকারি কর্মচারীদেরকেও দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন কেনা এবং দেওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপকভাবে ভ্যাকসিন দিতে হবে যাতে দেশের সবাই সুরক্ষিত থাকে।

‘ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি সম্মুখসারির যোদ্ধাদের পরিবারই শুধু নয়, তাদের বাড়িতে যারা কাজ করে তাদেরকেও যেন ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়।  তাতে, সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবে।’

তিনি বলেন, এজন্য যত টাকা লাগবে, যত ভ্যাকসিন দরকার হয়, কিনবো এবং বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আমরা তৈরি করবো যাতে মানুষের কোনো  অসুবিধা না হয়।

ইতোমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বয়স্ক কোনো মানুষ টিকা প্রাপ্তি থেকে বাদ যাবে না।  ছাত্র-শিক্ষক থেকে শুরু করে সবার জন্যই আমরা এই টিকা ক্রয় করতে থাকবো। সবাই যাতে টিকা পায় সেই ব্যবস্থাও আমরা অবশ্যই করবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলো এটা আমাদের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই হয়েছে। আমরা যে পরিকল্পনাগুলো নিয়েছি সেগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন এবং মানুষ তার সুফলটা পেয়েছে বলেই দেশের উন্নতি সম্ভব হয়েছে।  তিনি এজন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সেবা করতে গিয়ে গত এক দেড় বছরে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন সরকারি কর্মচারীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং তার দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের উন্নয়নের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত উদ্যোগের বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের লেখা দুটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ২০২০ এবং ২০২১ সালের জন প্রশাসন পদক বিজয়ীদের মাঝে স্বর্ণ পদক, চেক, ক্রেস্ট এবং সনদ বিতরণ করেন।

জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলি আজম স্বাগত বক্তৃতা করেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রচার করা হয়।

 পারভেজ/এসবি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়