কাবুল থেকে ২০ বাংলাদেশি উদ্ধার

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের কাবুলে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ২০ বাংলাদেশিকে কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৯ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার আফগানিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে এবং তাদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে ফিরিয়ে আনার কাজ শেষ করেছে এবং তাদের কাবুল থেকে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আফগান জনগণের পাশাপাশি আফগানিস্তানে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। হতাহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়েছে।

অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কর্মীরা আফগানিস্তানে আবারও ফিরে যেতে পারবে বলেও বিবৃতি উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানায় এবং দ্রুত আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনার আশা করে।

এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস গতকাল জানিয়েছিলেন, কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলার কারণে সেখানে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি এবং ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরছেন। ইতোমধ্যে তারা কাবুল থেকে কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরার কথা আছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় জানায়, আফগান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ১২ জন বাংলাদেশি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে একটি ভাড়া করা উড়োজাহাজে করে শিগগিরই দেশের পথে রওনা হবেন। এই ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে পড়েন। ছুটিতে বাড়ি গিয়ে তারা সেখানে আটকা পড়েন। কারণ, তালেবান কাবুল দখল করার পর তারা বাংলাদেশে ফিরতে পাচ্ছিলেন না।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে দুই দশক পর আবারও আফগানিস্তানের সবকিছুতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তালেবান।